নুরুল বশর(মানিক) কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধিঃ
টেকনাফের শাপলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত দেশের আলোচিত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো: রাশেদ খান হত্যা মামলায় দ্বিতীয় দফায় সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সোয়া ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে দ্বিতীয় দফা সাক্ষ্যগ্রহণনের ৪র্থ দিনে মামলার ৬নং সাক্ষী হাফেজ মাওলানা শহিদুল ইসলাম সাক্ষ্যপ্রদান করেন।
সাক্ষী হাফেজ মাওলানা শহিদুল ইসলাম টেকনাফের শামলাপুর বায়তুর নুর জামে মসজিদের ইমাম।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর সাংবাদিকদের জানান, দ্বিতীয় ধাপের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২০ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
এ ঘটনায় গত বছর ৫ আগস্ট সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রধান আসামী করে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ সহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় একটি এবং রামু থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার ৬ দিন পর ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতসহ ৭ পুলিশ সদস্য আত্মসমপর্ণ করেন।
আদালত র্যাবকে মামলার তদন্তভার দেয় ।পরে র্যাব পুলিশের দায়ের করা মামলার ৩ সাক্ষি এবং শামলাপুর চেকপোস্টে দায়িত্বরত আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) এর ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। এরপর গ্রেপ্তার করা হয় টেকনাফ থানা পুলিশের সাবেক কনস্টেবল রুবেল শর্মাকে।
সর্বশেষ গত ২৪ জুন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন টেকনাফ থানার সাবেক এএসআই সাগর দেব।
গত বছর ১৩ ডিসেম্বর র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ানের তৎকালীন দায়িত্বরত সহকারি পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম, ৮৩ জনকে সাক্ষি এবং ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। গত ২৭ জুন আদালত ১৫ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
Discussion about this post