পাবনা প্রতিনিধি:
মেধাবী শিক্ষার্থী জান্নাতুম মৌমিতা মুন্নীর মেডিকেল কলেজের শিক্ষার জন্য সকল কিছুর দায়িত্ব নিলেন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের হুইপ দিনাজপুর সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিম এমপি। এ খবরে চিন্তা মুক্ত এখন মুন্নীর পরিবারের সদস্যরা।
গতকাল দৈনিক ইছামতিতে মেডিকেলে চান্স পাওয়া মুন্নির পরিবার পড়েছেন আর্থিক দুশ্চিন্তায় শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এছাড়াও দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসে মুন্নীর মেডিকেলে চান্স পাওয়া এবং ভর্তি ও ভর্তি পরবর্তি পড়ালেখা চালিয়ে নেবার বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত আছে তার পরিবার। মানবিক ও শিক্ষা বিষয়ক এই সংবাদটি নজরে আসে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের মাননীয় হুইপ দিনাজপুর সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিম এমপির। সংবাদটি দেখার সাথে সাথে তিনি যোগাযোগ করেন গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে। পরে প্রাথমিক ফোন আলাপের পরে মুন্নীর পরিবারের সাথে কথা বলেন তিনি।
গতকালই মুন্নী এবং তার পরিবারের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের যুক্ত হন হুইপ ইকবালুর। এসময় মোবাইল ফোনের ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন মুন্নীর বাবা, মা ও চাচা। দীর্ঘ আলাপের পরে হুইপ তাদেরকে চিন্তা করতে নিষেধ করেন ও মুন্নীর মেডিকেলে শিক্ষা গ্রহনের জন্য সমস্ত দায়িত্ব ভার গ্রহণ করেন। তিনি মুন্নীর পিতামাতার কাছে নিজের জন্যও দোয়া চান ও মুন্নীকে মনোযোগ দিয়ে পড়ালেখা করার জন্য বলেন।
এসময় শিক্ষার্থী মুন্নী বলেন, আমার পরিবার যে সিদ্ধান্ত দিবেন সেটি আমার সিদ্ধান্ত। তবে আমার বা মা আমার সাথে আলাপ করে সব সময় সিন্ধান্ত গ্রহন করে থাকেন। আমি আমার বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে চায়। এই সংবাদটি যে এই ভাবে আমাদের মেয়েকে সহযোগিতার জন্য সারা ফেলবে আমরা বুঝে উঠতে পারিনি। এবিষয়ে দৈনিক ইছামতিসহ সকল গণমাধ্যমকে মুন্নীর বিষয়টি তুলে ধরে সহায়ক হওয়ায় পরিবারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান তারা।
উল্লেখ্য, মুন্নী জেলার সুজানগর উপজেলার তাঁতীবন্দ ইউনিয়নের উদয়পুর গ্রামের ভ্যান চালক বাকী বিল্লাহ ও রওশন আরা খাতুনের বড় মেয়ে। মুন্নী ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী। পোড়াডাঙ্গা হাজী এজেম আলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছেন এই শিক্ষার্থী। তার এই মেধাক্রম ও উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য এলাকার সবাই বেশ খুশি ও আনন্দিত।
Discussion about this post