শেখ নাফিজ (তপন),নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে নওগাঁয় আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত জেলার উপর দিয়ে আম্ফানের প্রভাবে ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। এতে জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলার আমচাষিরা ক্ষতির মধ্যে পড়েছে।
নওগাঁ কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার অফিস সূত্রে জানা যায়, বুধবার (২০ মে) রাত ১২টার পর নওগাঁয় আঘাত হানে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৭০-৮০ কিলোমিটার।
ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে ঝড়ো হাওয়ার সাথে বৃষ্টিপাত হয়েছে। কখনও দমকা হাওয়ায় রুপ নিয়ে বাতাসের গতিবেগ বেড়ে গেঝে। ঝড়ের তাণ্ডবে বেশ কিছু গাছের ডালপালা ভেঙে ও গাছের আম ঝরে পড়েছে।বাগানে বাগানে প্রচুর আম ঝরে পড়ায় ভোর হতে প্রতিটি বাগানে সাধারণ মানুষের আম কুড়ানোর ধুম পড়েছে।
মান্দা উপজেলার আমচাষি আলীহোসেন, দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রায় ১৫ দিন পূর্বে কালবৈশাখীর তাণ্ডবে আমাদের এলাকায় আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারও ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের আক্রমণ।
বাগানের অসংখ্য ল্যাংড়া ও ফজলি আম ঝরে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে আম্রপালী আমের গাছগুলো আকারে ছোট হওয়ায় গাছের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি।তবে অনেক আম ঝরে গেছে। বেশ কিছু গাছ ঝড়ে পড়ে গেছে। এতে করে বাগানে প্রায় ৪০ শতাংশ আম ঝরে পড়েছে। ঝরে পড়া আম ৩-৪ টাকা কেজির বেশি বিক্রি হবে না। যেসব আম ফেটে গেছে, সেগুলো কেউ কিনবে না। এ আম পরিপক্ক হওয়া পর্যন্ত আবহাওয়া আমচাষিদের অনুকুলে থাকলে এই ৪০ ভাগ আমই চাষিদের ভাগ্য ফেরাতে পারে বলে আমচাষিদের বিশ্বাস।
তারা আরও বলেন, করোনাভাইরাসের আতঙ্কে আতঙ্কিত আমচাষিরা তাদের বাগানের আম নিয়ে আতঙ্কিত হলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমের ক্ষতি যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘায়ে পরিণত হয়েছে। তবে বৈশ্বিক করোনার করণে যদি আমের বাজার মন্দা হয় তা হলে আমচাষিরা আবার ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে তারা শঙ্কিত।
নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম ফোনে বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে আমচাষিদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের কাজ চলছে।
Discussion about this post