নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে আশু মোল্লা হত্যাকান্ডের রহস্য দীর্ঘ দুই মাসেও উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।এ ঘটনায় আশু মোল্লার পরিবার হতাশায় ভোগছেন বলে জানিয়েন। তবে পুলিশের দাবী, শিঘ্রই এ হত্যাকান্ডের কারণ উদঘাটন করা হবে। এ হত্যাকন্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে অনেক তথ্য বের হয়েছে। সোনারগাঁওয়ের নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চর নোয়গাঁও এলাকার মোতাহার হোসেনের ছেলে বাকির, কোটি এলাকার অনুকুল চন্দ্র দাসের ছেলে মিঠু চন্দ্র দাস ও আড়াইহাজার উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের সুলপান্দী এলাকার হাফেজ মোল্লার ছেলে জহিরুল ইসলাম।
জানা যায়,সোনারগাঁওয়ের জামপুর ইউনিয়নের মীরেরবাগ গ্রামের মৃত মালেক মোল্লার ছেলে আশু মোল্লার লাশ চলতি বছরের ৮আগস্ট সকালে আড়াইহাজার-মদনপুর সড়কের স্থানীয় ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের বৈলারকান্দি এলাকায় একটি বালু মাঠের পাশে ডোবায় ভাসমান হাত-পা বাঁধা ও মুখে স্কটেপ পেঁচানো অবস্থায় অটো চালক আশু মোল্লার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এঘটনায় নিহত আশু মোল্লার ভাই বেনু মোল্লা বাদি হয়ে আড়াইড়াইহাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর আগের দিন তিনি সোনারগাঁও থানায় একটি নিখোজ ডায়েরী করেন।
নিহতের ভাই ও মামলার বাদী বেনু মোল্লা জানান, আশু মোল্লা চলতি বছরের ৬ আগস্ট বৃহম্পতিবার বিকেলে অটোরিক্সা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। পরে রাতে সে আর বাড়ি ফেরেনি। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজির পর পরদিন সোনারগাঁও থানায় একটি নিখোঁজের জিডি করি। দীর্ঘ ২ মাসে এ হত্যাকান্ডের কোন সুরাহ হলো না।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আড়াইহাজার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মঞ্জুর হোসেন বলেন, হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাবাদ করা হয়েছে। তাদের কাছ কিছু তথ্য বের হয়েছে। তবে খুব শিঘ্রই হত্যাকান্ডের কারণ উদঘাটন করা হবে।
Discussion about this post