মনিরুজ্জামান মনির :
খুলনা বিভাগীয় কওমি মাদ্রাসা পরিষদের উদ্যোগে যশোরে বিভাগীয় উলামা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার (১৯ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪ পর্যন্ত যশোর সদর উপজেলা সুতিঘাটা গ্রামে ‘আশরাফুল মাদারিস’ মাদরাসা ময়দানে উলামা সম্মেলনের আায়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সভাপতি এবং আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আল্লামা মাহমুদুল হাসান।
তিনি বলেন, সন্তানদের বাবা-মারা দ্বিনি ইসলাম শিক্ষার জন্য তাদের সন্তানদের সমস্ত দায়িক্ত আমাদের উপর ছেড়ে দেন। তারা জেনো দ্বীনি শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষা নিজের মধ্যে আয়োক্ত করতে পারে এবং সমাজ ও রাষ্ট্রের মূল শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে। আর যদি এই সন্তান নষ্ট হয়ে যায় । একারণে হাশরের মাঠে আমাদের জবাব দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, কওমি শিক্ষার মুরব্বিরা ও সরকার যৌথভাবে কওমি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সেটাকে মূল ভিত্তি হিসাবে শিক্ষার যথাযথ মান রক্ষার চেস্টা করতে হবে। একই সাথে শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলা আমাদের মূল লক্ষ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ভারতের ইউ.পি শাহী মুরাদাবাদ মাদ্রাসার আওলাদে রাসূল মুহতামিম আল্লামা সায়্যদি আশহাদ রশিদী। প্রধান আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখেন বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা মাহফুজুল হক।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন খুলনা বিভাগীয় কওমি মাদ্রাসা পরিষদের সভাপতি মাওলানা মুস্তাক আহমাদ এবং অনুষ্ঠিন পরিচালনায় করেন জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি আব্দুল্লাহ ইয়াহহিয়া। এছাড়াও সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন খুলনা বিভাগীয় কওমি মাদ্রাসা পরিষদের মহাসচিব মাওলানা নাসিরুল্লাহসহ যশোরের নির্বাহী সভাপতি মাওলানা আনোয়ারুল করিম, মুফতি আব্দুস শুকুর, আব্দুল্লাহ নোমান, মুফতী মাহবুবুর রহমান, শেখ নাসির উদ্দিন, শেখ হাসান ওবায়দুল করিম, মুফতী ইমরান হোসাইন, মাওলানা রফিকুর রহমান, অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল আউয়াল, মাওলানা নাসিরুল্লাহ, মুফতি গোলামুর রহমান, মুফতি নুরুল আমিন মাওলানা হুমায়ুন কবির, মুফতি আব্দুল হাই, মাওলানা আকবর হোসাইন, মাওলানা আসাদুল্লাহ মাওলানা নজির বিন হাসেম, মাওলানা মোস্তাক আহমেদ, মুফতি জিহাদুল ইসলাম, মুফতি ওয়াইজ আহমেদ, মুফতি হাফিজুর রহমান, মাওলানা আহমাদুল্লাহ, মুফতি ইলিয়াস হোসেন জাহানাবাদী, মুফতি আবু সালে, মুফতি আব্দুর রহমান মিয়াজী, মুফতি আব্দুর রহিম, মাওলানা আরিফ বিল্লাহ, প্রমুখ। সম্মেলন শেষে খুলনা বিভাগের জেলা ভিত্তিক ১০টি পুরুষ মাদ্রাসা এবং ১০টি মহিলা মাদ্রাসা শীর্ষ হিসাবে ঘোষণা দেন। আর খুলনা বিভাগে ৩টি পুরুষ মাদ্রাসা ও ৩টি মহিলা মাদ্রাসা শেষ্ঠ হিসাবে ঘোষণা দেন এবং এ মাদ্রাসাকে পুরস্কৃত করেন।
Discussion about this post