ইমতিয়াক রহমান (রিফাত), মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :
কমলগঞ্জে করোনা ঝুঁকি নিয়ে চলছে কেনাকাটা, জমজমাট হয়ে পড়েছে ঈদের বাজার।তবে ঈদের কেনাকাটায় ক্রেতাদের মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহারে আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেয়া হলে ওতার কোন বালাই দেখা যাচ্ছে না । করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই শপিংমলগুলোতে ঈদ কেনাকাটায় ভিড় করছেন ক্রেতারা। শপিংমলগুলোতে সুরক্ষা ব্যবস্থার যেমন অভাব, তেমনি কেউ কেউ মানছেন না স্বাস্থ্যবিধিও। একদিকে বিধিনিষেধ অন্যদিকে ঈদ কেনাকাটা। দুটোর সমন্বয় করতে গিয়েই তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে শপিংমল আর বিপণীবিতানগুলোতে। এছাড়াও কোন দোকানেই চোখে পড়েনি হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার। আবার স্বাস্থ্যবিধি মানতে উদাসীনতা রয়েছে শপিংয়ে আসা ক্রেতাদের মধ্যেও। ঝুঁকি মাথায় নিয়ে শিশুদের নিয়েও আসছেন অনেকে। কমলগঞ্জ উপজেলার ভানুগাছ বাজার, শমশেরনগর বাজার,আদমপুর বাজার, মুন্সীবাজার, পতনঊষার বাজারসহ বিভিন্ন মার্কেটে ঘুরে দেখা যায়, মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় অনেক বেশি। গাদাগাদি করে বেচাবিক্রি হলেও কেউ কাউকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বারণ করছেন না। মার্কেটের ভেতরে তো আছেই, ফুটপাথের দোকানগুলোতেও দেখা গেছে তীব্র ভিড়। আগত ক্রেতাদের অনেকেই এসেছেন ঈদের কোনাকাটা করার জন্য। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি ও চলমান লকডাউনের কারণে আগের মতো ঈদ বাণিজ্য করতে পারছে না ব্যবসায়ীরা। গতবছরও করোনার কারণে ঈদ বাণিজ্যে ধস নেমেছিল। তবে এবার আগে-ভাগে মার্কেট চালু হওয়ার সুবাধে ধস নয়, বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাবেন ব্যবসায়ীরা। মার্কেটে ক্রেতা সমাগম বাড়ার পাশাপাশি বেচাবিক্রি বেড়ে যাওয়ায় আশাবাদী হয়ে উঠছেন ব্যবসায়ীরা। করোনা সংক্রমণের কারণে ইতোমধ্যে ব্যবসায়ীরা বড় অঙ্কের লোকসান করেছেন। তবে ঈদ সামনে রেখে দোকানপাট খুলে দেয়ায় বেচাকেনা শুরু হয়েছে এটাই এ মুহূর্তের বড় অর্জন। করোনা আতঙ্কে মানুষ ঘর থেকে বের হতে চায় না। এছাড়া গত এক বছরে মানুষের আয় উপার্জন অনেকটা কমে গেছে। এর একটি নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বেচাবিক্রিতে। তবে ব্যবসায়ীরা আশাবাদী ব্যবসা আবার ঘুরে দাঁড়াবে এটাই প্রত্যাশা করছেন। ঈদ সামনে রেখে এবার বিক্রেতারা আগে-ভাগে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন। এ কারণে পাইকারি বাজার থেকে পোশাক সংগ্রহের কাজটি তারা রোজার আগেই করেছেন। এছাড়া অনেক উদ্যোক্তাদের দেখা গেছে নিজেদের কারখানায় পোশাক তৈরি করে সেই পোশাক এখন অনলাইনে বিক্রি করছেন। তবে মার্কেটে গুলোতে নতুন পোশাক-আশাক থেকে শুরু করে কোন পণ্যের কোন সঙ্কট নেই। শমশেরনগরের বাসিন্দা শারমিন আক্তার, লিজা বেগম জানান, ‘ঈদ কেনাকাটার করার জন্যই মার্কেটে আসা হয়েছে। বিভিন্ন ডিজাইনের নতুন পোশাক পাওয়া যাচ্ছে মার্কেটে।’ ভানুগাছ ও মুন্সীবাজারের কাপড়ের ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘হঠাৎ করেই ক্রেতারা কেনাকাটা বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাদের বেচাবিক্রি ভাল হচ্ছে।’
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশেকুল হক বলেন, ‘কেনাকাটায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে ব্যবসায়ীদেরকে বলা হয়েছে। তাছাড়া প্রতিনিয়ত উপজেলা প্রশাসনের তদারকি চলছে।’
Discussion about this post