সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নে দুধঘাটা গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী নূরতাজ আক্তারসহ তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা চেষ্টা চালিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় নূরতাজ আক্তারের মা বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সোনারগাঁও থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের দুধঘাটা গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের স্ত্রীর সাথে তার ভাসুর আমিনুল ইসলামের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছে। মৃত্যুকালে আব্দুল মান্নান দুজন কন্যা সন্তান রেখে যান। এ জমি দীর্ঘদিন ধরে আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্য পাঁয়তারা করছে। বৃহস্পতিবার সকালে জমি নিয়ে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে খোকন, কবির, রোকেয়া, তাহমিনা ও রানুসহ ৮-১০জনের একটি দল লাঠিসোটা, লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হাসনাআরা বেগমের ঘরে প্রবেশ করে হাসনা আরা বেগম ও পরিবার পরিকল্পনা সহকারী নূরতাজ বেগমকে পিটিয়ে আহত করে। এসময় পাশ্ববর্তী ঘরে থাকা নূরতাজের স্বামী বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। এসময় বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে। তাদের ঘরে থাকা নগদ টাকা, মোবাইলসেট ও স্বর্ণলংকার লুট করে নিয়ে যায়। তাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা হত্যার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।
মামলার বাদী হাসনা আরা বেগম বলেন, আমার স্বামী দুজন কন্যা সন্তান রেখে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর পর থেকে আমার ভাসুর ও তার ছেলেরা আমার স্বামীর সম্পত্তির আত্মসাৎ করার জন্য আমাদের বাড়ি ছাড়া করতে উঠে পড়ে লেগেছেন। আমরা প্রতিবাদ করায় আমাদেরকে হত্যার উদ্দেশ্য ঘরে প্রবেশ করে পিটিয়ে আহত করে। এর আগেও রান্নাঘরে প্রবেশ করে খাবারে বিষ মিশিয়ে দিয়েছে। এ বিষয়টি গ্রামের সকলেই জানেন। তিনি আরো বলেন, আমাদের আহত করার পর হাসপাতালে নিতে বাঁধা দেয় হামলাকারীরা।
অভিযুক্ত আমিনুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ সত্য না।তবে তাদের সাথে তর্কের এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়েছে।
সোনারগাঁও থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ গ্রহন করা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Discussion about this post