মেহেদী হাসান ,জামালপুর প্রতিনিধি:
জামালপুর শহরের ১১ নং ওয়ার্ডে পলাশগড় এলাকায় জমিতে ধান কাটা নিয়ে সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের হামলায় জেলা ছাত্রলীগের উপ-ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মিশাল ও তার পরিবার গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।আজ মঙ্গলবার (০৯ মে) সকালে পলাশগড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান,পলাশগড় এলাকায় জেলা ছাত্রলীগের উপ-ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মিশাল এর মা মনোয়ারা হক তার পৈত্রিক সম্পত্তির অংশিদার হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত জমি ভোগদখল করছেন। সেই জমিতে ধান ও মাছের চাষাবাদ করেন। কিন্ত স্থানীয় নূরনবী, ফজলুল হক, নাজু,ইমাদুল হক, নজরুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম, মিরা আক্তার, শাহানা বেগম, ফাতেমা বেগম,নূর নাহার সহ স্থানীয় কতিপয় ভূমিদস্যু তা জোর পূর্বক দখলের পায়তারা করেন। এর আগেও অনেকবার এই জমি জোর পূর্বক দখলের চেষ্টা করেছেন।
পরে মনোয়ারা হকের পৈত্রিক জমি জোর পূর্বক দখলের চেষ্টা করলে তিনি আদালতে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জন্য মামলা দায়ের করেন। মামলাটি এখনও চলমান।
বুধবার সকালে মনোয়ারা হক তার জমিতে ধান কাটতে গেলে নূরনবী, ফজলুল হক, নাজু,ইমাদুল হক, নজরুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম, মিরা আক্তার, শাহানা বেগম, ফাতেমা বেগম,নূর নাহার সহ স্থানীয় ভূমিদস্যুরা দেশীয় অস্র সুসজ্জিত হয়ে মনোয়ারা হক ও তার পরিবারের উপর অতর্কিত হামলা করেন।
অতর্কিত এ হামলায় মনোয়ারা হক,তার ছেলে জেলা ছাত্রলীগের উপ-ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মিশাল, স্বামী মোজাম্মেল হক সহ আরও ২ জন গুরুতর আহত হোন। পরে স্থানীয়রা আহতদেরকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আহত মনোয়ারা হক ১২ জনকে আসামী করে ৯ মে দুপুরে জামালপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয়রা আরও বলেন, শুধু এই জমি নিয়ে বিরোধ নয়। একাদিক ব্যক্তির জমি জোর পূর্বক দখল করে রেখেছে এই ভূমিদস্যু দখলবাজরা। ওদের কাজই হলো অন্যের জমি জোর পূর্বক দখল করা। এলাকার মানুষজনও এই দখলবাজদের কাছে জিম্মি। ভূমিদস্যুদের বিপক্ষে কথা বললেই মারধর করে ও প্রাণ নাশের হুমকী দেয়।
লিটন নামের এক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, আমি পলাশগড় বাইপাস মসজিদ সংলগ্ন ১৯ শতাংস আবাদী জমি কিনেছি। এই দখলবাজ সন্ত্রাসীরা আমার জমিতে যেতে দিচ্ছে না। আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হমকী দিচ্ছে। আমার জমির সকল কাগজপত্র সঠিক আছে। তিনি এই জোর পূর্বক জমি দখলবাজদের শাস্তি কামনা করেন।
এ বিষয়ে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) শাহনেওয়াজ বলেন, ঘটনার প্রেক্ষিতে মিসেস মনোয়ারা হকের অভিযোগের ভিত্তিতে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই আসামীদের গ্রেপ্তারে সদর থানার অভিযান চলমান থাকবে।
Discussion about this post