এস এম আরিফুল ইসলাম আরিফঃ
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাগান্না ইউনিয়নের ডহরপুকুরিয়া, আনান্দনগর,বাদপুকুরিয়াসহ আরো অনেক গ্রামের মানুষের ভোরে পাখিডাকার পূর্বেই অসংখ্য মাটি বোঝায় ট্রাক্টরও লাটা হাম্বার বিকট আওয়াজে ঘুম ভাঙে।
সমস্ত রাস্তা ধোঁয়াটে হয়ে যায় ট্রাক্ট্রও লাটা হাম্বা গুলোর দ্রুত যাতায়াতের কারণে। এ যেন এক বিশাল প্রতিযোগিতা। প্রভাবশালী মাটি ব্যবসায়ীদের অসম প্রতিযোগিতায় তাদের কাছে সাধারণ মানুষ অসহায়। করোনা ভাইরাসের আক্রমণে যখন চারদিক স্তব্ধ,সারাদেশে আবার লক ডাউন ঠিক সেই সময়ে এই মাটি ব্যবসায়ীরা লক ডাউন ভাঙ্গার প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত।
এদিকে কম দামে মাটি পাওয়ার আশায় কাস্টমাররাও প্রয়োজনের অতিরিক্ত মাটি সংগ্রহ করে রাখছে যার যার ইচ্ছেমতো। বিশেষ করে ডাকবাংলা ত্রিমহনী হতে বাজার গোপালপুর সড়কটির কাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথেই অতিরিক্ত মাটি বোঝায় করা অদক্ষ ট্রাক্টও লাটা হাম্বার ড্রাইভার দাঁপিয়ে বেড়ানোতে মাটির প্রলেপ পড়ে ঢেকে যাচ্ছে নতুন পাকারাস্তা। গ্রামের রাস্তাঘাট স্থানে স্থানে ভেঙে যাচ্ছে এবং এলাকার পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে।
এদিকে রাস্তায় যে মাটির প্রলেপ পড়ে আছে আবার তাতে ক দিন দফায় দফায় হালকা বৃষ্টি হওয়ার কারণে এই রাস্তা দিয়ে যানবাহন তো দূরের কথা পায়ে হেঁটে চলাচল করা ও একেবারে অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে আরও জানা গেছে, আবাদি জমি নষ্ট করে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে সেই ভেকু দিয়েই ট্রাক্টর বোঝায় করে সরকারি রাস্তা নষ্ট করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছে। দ্রুত মাটি নামিয়ে আবার চলে যায় নতুন করে মাটি আনতে। এভাবে মাটি আনা-নেওয়ার প্রতিযোগিতা চলে প্রায় সারাটা দিন। সাগান্না ইউনিয়নের বাদপুকুরিয়া, আনন্দনগরও ডহরপুকুরিয়া গ্রামের মানুষেরা অভিযোগ করে বলেন, বারবার নিষেধ করা সত্বেও তারা আরো বেশি করে ট্রাক্টরও লাটা হাম্বা নিয়ে হাজির হয়৷
আরও জানা গেছে, মাটি কাটা ব্যবসায়ীদের কয়েকদফা ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাধ্যমে জরিমানা আদায় করলেও কয়েকদিনের মধ্যে আবার শুরু করে মাটি কাটা এতে করে এলাকাবাসী ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে। এদের অত্যাচারে এলাকাবাসীর জনজীবন অতিষ্ঠ। আবার এতে করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিটাও বেশি। এ অবস্থা থেকে বাঁচতে এলাকার লোকজন ঝিনাইদহ সু-যোগ্য জেলা প্রশাসক এর নেক দৃষ্টি কামনা করছেন।
Discussion about this post