মনসুর আলম মুন্না, কক্সবাজার প্রতিনিধি:
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে বছরের শেষ সময়ে ভ্রমণে আসেন হাজারো মানুষ। এই পর্যটকদের বেশির ভাগই আসেন খ্রিষ্টীয় ক্যালেন্ডারে বছরের শেষ রাত ও নতুন বছরের প্রথম প্রহর অর্থাৎ, থার্টি–ফার্স্ট নাইট উদ্যাপন করতে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, ইংরেজি নববর্ষে বীচ এলাকায় গান-বাজনা বা অনুষ্ঠান করা যাবে না। এমনকি হোটেলের ছাদে গান-বাজনা ও আতশবাজি ফোটানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিওন।
আজ সোমবার (১৮ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে বীচ এলাকায় পর্যটক হয়রানি বন্ধে অভিযানে এসব কথা বলেন,টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিওনের অতিরিক্ত ডিআইজি আ্যাপেল মাহমুদ।
তিনি আরো বলেন, বীচ এলাকায় কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা বা অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পোশাক পরিহিত পুলিশের সঙ্গে সাদা পোশাকে গোয়েন্দারা পর্যটক কেন্দ্র গুলোতে মোতায়েন থাকবে। বীচ এলাকায় ডুবুরি মোতায়েন থাকবে। তবে সন্ধ্যার পরে সুগন্ধা, লাবণীতে কোনো বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় যাতে কোনো চালক গাড়ি চালাতে না পারে সেজন্য সন্দেহজনকদের ব্রিথিং টেস্টের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিভিন্ন সড়কে চেকপোস্ট স্থাপন করে যতোটা সম্ভব তল্লাশি করবো।
তিনি আরো বলেন, নিষেধাজ্ঞার আওতায় থার্টি ফার্স্ট নাইটের অংশ হিসেবে সমুদ্র সৈকত বা কোনো উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের জমায়েত, অনুষ্ঠান, আতশবাজি, গান-বাজনা বা অন্য কোনো অনুষ্ঠান বা আয়োজন করা যাবে না।একইভাবে ইনডোরে কোনো আয়োজন করলে আমাদের অনুমতি নিতে হবে। এই নিষেধাজ্ঞা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অমান্য করলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
Discussion about this post