বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। এদেশে দরিদ্র মানুষের যেমন বসবাস রয়েছে, তেমনি ধনী মানুষের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। তবে ধনী ও দরিদ্রের মাঝে এদেশে যেন প্রথাগতভাবে এক ধরনের বৈষম্য রয়েই গেছে। বিশেষ করে ঈদের সময় ধনী পরিবারের সদস্যরা আড়ম্বরপূর্ণ ঈদ উদযাপন করলেও দরিদ্র পরিবারগুলোর চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন।
ভালো মানের পোশাক ও খাবার থেকে শুরু নানান সমস্যার মধ্যে তাদের দিন আর রাত কাটে। ফলে, ঈদের দিনও তাদের দুঃখের সাথে সময় কাটাতে হয়। যেসব কারণে এমন সমস্যা ও বৈষম্য তৈরি হয়েছে তন্মধ্যে, ধনী ব্যক্তিবর্গ কর্তৃক দরিদ্রদের প্রতি নিয়মিত সহায়তার হাত না বাড়ানো ও যাকাতের অর্থ বা সম্পদের সুষ্ঠু বণ্টন না হওয়া অন্যতম। যদি এদেশের প্রতিটি দরিদ্র পরিবারের সদস্যরা ধনী ব্যক্তিবর্গ কর্তৃক সময়মত আর্থিক অনুদান ও যাকাতের অর্থ বা সম্পদ লাভ করতে সক্ষম হয়, তবে তারাও ভালোভাবে আনন্দের সাথে ঈদ উদযাপন করতে পারবে।
কেননা, আমাদের মতো তাহারাও মানুষ। এক্ষেত্রে সরকারকেও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করে এগিয়ে আসতে হবে। তাই, এদেশের আর্থিক দিক থেকে সবল পরিবারগুলো যেমন আনন্দের সাথে ঈদ উদযাপন করে, তেমনি দরিদ্র মানুষের ক্ষেত্রেও এমন ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্যোগ নেওয়া খুবই জরুরি প্রয়োজন মনে করি। যেন সমাজের দরিদ্র মানুষেরাও উত্তম পোশাক পরিধান ও ভালো খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে ঈদের আনন্দ একে অপরের সাথে উপভোগ করতে পারে এবং তাঁদের সন্তানদের মুখে যেন ধনী পরিবারের সন্তানদের মতই মিষ্টি হাঁসি শোভা পায়।
শুধু তাই নয়, ঈদের নামাযেও ধনী-গরীব সব কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এক কাতারে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে নামায আদায়ের মাধ্যমে সমাজকে বৈষম্য দূরীকরণের এক আগাম শুভাগমনী বার্তা দিতে হবে। তবেই সার্থক হবে ঈদ উদযাপনে ইসলাম ও সমাজের প্রকৃত উদ্দেশ্য।
লেখক: মোহাম্মদ হাসিব উল্লাহ
শিক্ষার্থী, দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামীক স্টাডিজ বিভাগ
আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম।
Discussion about this post