নিলয়,স্পোর্টস ডেস্ক:
সুপার ফোরে কোন জয় না থাকায় আগেই এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে গেছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে দুই জয় নিয়ে টুর্নামেন্টে সবার আগে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ভারত। তাই দুই দলের কাছে আজ ম্যাচটি ছিলো নিয়মরক্ষার। এমন ম্যাচে ভারতকে ৬ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ২০১২ সালের পর এশিয়া কাপের আসরে দ্বিতীয়বারের মতো সাবেক চ্যাম্পিয়নদের হারালো লাল সবুজ বাহিনী।
নিয়মরক্ষার ম্যাচ তাই টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। এদিন নিয়মিত একাদশের কয়েকজনকে বাইরে রেখে টাইগারদের বিপক্ষে মাঠে নামে টিম ইন্ডিয়া। বাংলাদেশের একাদশেও এদিন ছিলো না বেশ কয়েকজন তারকা ক্রিকেটার। ব্যাট হাতে আজ ওপেনিংয়ে ফিরেছেন লিটন কুমার দাস। নাঈম শেখের জায়গা দলে জায়গায় পান আরেক ওপেনার তানজিদ তামিম। তবে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন লিটন-তামিম দুজনেই। ইনিংসের ২ওভারে দলীয় ১৩ রানে মোহাম্মদ সামীর বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান লিটন। ডানহাতি এ ব্যাটার এ দিন রানের খাতায় খুলতে পারেননি। পরেই ওভারেই সারদুল ঠাকুরের শিকার হন জাতীয় দলে মাত্র দুই ওয়ানডে খেলা তামিম। আউট হওয়ার আগে ৩ চারের সাহায্যে ১২ বলে ১৩ রান করেন বাঁহাতি এ ব্যাটার।
অনেক আলোচনার জন্ম দেওয়া এনামুল হক বিজয় সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ। মেহেদী মিরাজ ও ফিরে যান দ্রুতই। ৫৯ রানে চার উইকেট হারানো বাংলাদেশ যখন আরও একবার ব্যাটিং ভরাডুবির দ্বারপ্রান্তে তখনি দলের হাল ধরেন কাপ্তান সাকিব ও তরুণ তাওহিদ হৃদয়। জাদেজা প্যাটেলদের সামলিয়ে দুজনে গড়ে তোলেন ১০১ রানের কার্যকরী এক পার্টনারশিপ। হঠাৎ ছন্দপতন ইনিংসের ৩৪ তম ওভারে আঘাত হানেন সারদুল। দলীয় ১৬০ রানে ও ব্যাক্তিগত ৮০ রানে আউট হন বাংলার জান বাংলার প্রাণ সাকিব আল হাসান। অপরপ্রান্তে উইকেট আগলে রাখা তাওহীদ হৃদয় অর্ধশতক করলেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। তবে শেষ দিকে নাসুমের ৪৫ বলে ৪৪ রানে ভর করে লড়াকু পুঁজি পায় টিম টাইগার। ৮ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ হয় ২৬৫।
২৬৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ভারতীয় শিবিরে আঘাত হানেন অভিষিক্ত তানজিম হাসান সাকিব। ইনিংসের প্রথম ওভারেই রোহিত শর্মাকে ফেরান ডানহাতি এ পেসার। নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসে আবারও চমক দেখান তানজিদ সাকিব। তুলে নেন তিলক ভর্মার উইকেট। দলীয় ১৭ রানে দুই উইকেট হারিয়ে ভারত যখন ব্যাকফুটে তখন ওপেনার সুবমান গিল ও চারে নামা লুকেশ রাহুল গড়ে তোলেন জুটি। তবে তাদের জুটিও বেশিক্ষণ টিকদে দেননি শেখ মেহেদী। ভেঙ্গে দেন ৫৭ রানেফ জুটি। এরপর নিয়মিত বিরতিতে ভারত উইকেট হারালেও একপাশ আগলে রাখেন সুবমান গিল। টাইগার বোলিংদের মোকাবেলা করে তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৬ শতক। তবে গিলের শতকও টাইগারদের ম্যাচ জয়ে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। দলীয় ২০৯ রানে ১২১ রান করা গিলকে ফেরান শেখ মেহেদি। গিলের আউটের পর ভারতের ৪৪ বলে প্রয়োজন ৫৭ রানের। উইকেটে তখনো অক্ষর প্যাটেল ও সারদুল ঠাকুর। ভারতের জয় হাতের মুঠোয় থাকলেও টাইগার ফেসার মুস্তাফিজের অসাধারণ বোলিংয়ে জয় ছিনিয়ে আনে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ২৫৯ পর্যন্ত করতে পারে ভারত। ফলে ৬ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে টাইগাররা।
মুস্তাফিজ ৩টি তানজিফ তামিম ও শেখ মেহেদী নেন দুইটি করে উইকেট। অধিনায়ক সাকিব ও মেহেদী হাসান মিরাজ নেন একটি করে উইকেট।
Discussion about this post