২০১৯ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ ফি নির্ধারণ করে শিক্ষা বোর্ডের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা মানছেন না সোনারগাঁয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পঞ্চমীঘাট উচ্চ বিদ্যালয়।
মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড এসএসসি পরীক্ষার ফরম ফিলাপের ফি বাবদ বিজ্ঞান বিভাগের জন্য শিক্ষার্থী প্রতি ১৯৭০টাকা এবং বানিজ্য ও মানবিক শাখার জন্য শিক্ষার্থী প্রতি ১৮৫০ টাকা করে ফরম ফিলাপের ফি সরকারী ভাবে নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে ঢাকা মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। প্রজ্ঞাপনে সুস্পষ্ট ভাবে উল্লেখ্য আছে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বেতন নেয়া যাবে এবং এ ছাড়া অন্য কোন ফি আদায় করা যাবে না।
অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে বিদ্যালয়ে এসএসসি ২০১৯ইং সালের কয়েকজন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জানা যায়, তারা ফরম ফিলাপের জন্য জনপ্রতি ৩ হাজার টাকা পরিশোধ করেছেন। তারা প্রমাণ স্বরূপ বিদ্যালয় থেকে সরবরাহ করা মানি রিসিট দেখিয়েছেন। ফরম ফিলাপের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করার আরেকটি মানি রিসিট দেখান শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থী প্রতি অতিরিক্ত ১ হাজার ২ শত ৯০ টাকা করে নিচ্ছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মানি রিসিটে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার খ্যাত হিসেবে শিক্ষক ও কর্মচারী তহবিল, বিদ্যুৎ বিল, বিজ্ঞানাগার, শ্রেণীকক্ষ ব্যবস্থাপনা ননএমপিও খ্যাত, তথ্য প্রযুক্তি ও উন্নয়ন তহবিল উল্লেখ্য করা হয়েছে
এ ছাড়া এ বিদ্যালয়ের আরও কিছু অভিযোগ আছে ৮ম -৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলোক কোচিং করতে হয় এক, একজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৪০০ টাকা করে নেওয়া হয় এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক এর সাথে কথা বলতে গেলে উনি সাংবাদিকদের উপর খেপে গিয়ে বলেন বেশি বারাবাড়ি করলে অবস্থা খারাপ হবে এ বলে তার লোকজন দের ডাকেন তারা এসেও সাংবাদিকদের সাথে খারাপ আচরণ করেন, নাম না বলার অনুরোধ জানিয়ে শিক্ষার্থী বলেন এমনো ক্লাস আছে যেখানে ছাত্রী ৬৭জন, ২জন ছাড়া বাকি সব ৬৫ কোচিং করেন,
জানা যায়, টেষ্ট পরীক্ষায় ২-৪ বিষয়ে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদেরকেও ফরম ফিলাপের সুযোগ করে দিয়েছেন পঞ্চমীঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম। ঢাকা মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড এসএসসির ফরম পূরণের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী প্রতি ন্যূনতম ফি নির্ধারণ করে এক বা দুই বিষয়ে অকৃতকার্যদের পরীক্ষায় অংশ নিতে দেয়া হবে বলে প্রজ্ঞাপন জারি করলেও পঞ্চমীঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মতই সোনারগাঁ উপজেলার অনেক বিদ্যালয় প্রধানই মানছেন না এই বিধি নিষেধ।
বিদ্যালয়ের টাকা নেয়ার রশিদ দেখালে ফরম ফিলাপে বোর্ড নির্ধারিত ফি নেয়ার কথা স্বীকার করে, আলাদা রিসিট দিয়ে অন্যান্য ফি নেয়ার কথা জানান প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম। তিনি আরো জানান, স্থানীয় প্রভাবে আমাকে টেষ্ট পরীক্ষায় অংশ নেয়া সব শিক্ষার্থীদেরকেই ফরম ফিলাপ করতে দিতে বাধ্য হয়েছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম প্রধান জানান, ফরম ফিলাপ ফি বাবদ অতিরিক্ত টাকা নেয়ার কোন সুযোগ তো নাইও বরং এসময় অন্যকোন ফি নেয়ারও সুযোগ নাই। পঞ্চমীঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম যদি অতিরিক্ত টাকা আদায় করে থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য যে, ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সূত্রে এসব তথ্য জানা এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অনলাইনে বিলম্ব ফি সহ ফরম পূরণের শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত। সব বিভাগের জন্যই বিলম্ব ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ টাকা।
Discussion about this post