দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৪১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট ৭ হাজার ১০৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ৮ জন। মোট মারা গেছেন ১৬৩ জন।করোনা ভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন সংবাদ বুলেটিনে বুধবার (২৯ এপ্রিল) এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তিনি আরোও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় চার হাজার ৭০৬ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নমুনা পরীক্ষা করা হয় চার হাজার ৯৬৮ টি। এর আগে মঙ্গলবার দেশে ৫৪৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয় ও ৩ জনের মৃত্যু হয়।
এদিকে, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩১ লাখ এবং মৃতের সংখ্যা দুই লাখ। তবে এই আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ভিন্ন তথ্য।
যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ফিন্যানসিয়াল টাইমস সম্প্রতি ১৪টি দেশে মৃতের সংখ্যা বিশ্লেষণ করে বলছে, করোনায় মৃতের যে সংখ্যা বিভিন্ন দেশের সরকার প্রকাশ করছে, প্রকৃত মৃতের সংখ্যা তার চাইতে ৬০ শতাংশ বেশি।
আক্রান্তের সংখ্যা নিয়েও এমন দাবি করেছে একধিক সংস্থা। তবে আক্রান্তের সংখ্যা সীমার মধ্যে রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে বিভিন্ন দেশের সরকার। লকডাউন থেকে শুরু করে কারফিউয়ের মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিভিন্ন দেশের সরকার।
এই পদক্ষেপে চীনের মতোই সফলতা পেয়েছে বিভিন্ন দেশ। নিউজিল্যান্ড ও জার্মানি এক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে। অনেক দেশ এই লকডাউন তুলে নেয়ার এবং শিথিল করার ঘোষণা দিয়েছে। তবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লে আবার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে তারা।
এ সিদ্ধান্তের বাইরে বেরুতে পারেনি বাংলাদেশও। ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হওয়ার তথ্য প্রকাশের পর ২৬ মার্চ থেকে দেশে সাধারণ ছুটি চলছে। সারা দেশকে লকডাউন ঘোষণা করা না হলেও কার্যতভাবে তেমনটাই হয়েছে।
ভাইরাসটির প্রতিষেধক ও ভ্যাকসিন আবিষ্কারে যখন দেশে দেশে গবেষণা চলছে তখন চীনের একদল গবেষক দাবি করেছেন এই ভাইরাস আসলে পৃথিবী থেকে কখনোই দূর হবে না। প্রতিবছরই ঘুরে ফিরে আসবে এর প্রাদুর্ভাব। তবে লকডাউন করে ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা সম্ভব।
এই ভাইরাসের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়লেও পরিবেশগত দিক থেকে বেশ উপকৃতই হয়েছে পৃথিবী। বায়ু দূষণের মাত্রা এতটাই কমেছে যে ওজন স্তরে যে ক্ষতি হয়েছিল তার অনেকটাই পুষিয়ে নিয়েছে পৃথিবী।
Discussion about this post