বৈরিতা নিরসনে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্যিক আলোচনা কিছুদিনের মধ্যে আবারও শুরু হতে পারে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে শেষ আলোচনা হয়েছিলো ডোনাল্ড ট্রাম্প আর শি জিনপিংয়ের মধ্যে। দুই অর্থনৈতিক পাওয়ার হাউজের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হয় ২০১৮ সালে, যা বেইজিং-ওয়াশিংটনের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে সারা বিশ্বকে।
জানুয়ারিতে আমদানি পণ্যে শুল্ক শিথিলের আলোচনা চলছিলো। আলোচনায় ছিলো ২০২০ এবং ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২০ হাজার কোটি ডলারের পণ্য কিনবে চীন। কিন্তু করোনার কারণে সে আলোচনায় ভাটা পড়ায় ৬ মাস ধরে মনোমালিন্য বাড়ছে দেশ দু’টির। পরিণতি হিসেবে দেশের তথ্যগত নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে চীনের কয়েকটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। ভঙ্গুর বাণিজ্যিক সম্পর্কের মধ্যে এই নিষেধাজ্ঞা যেন মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা।
উইচ্যাট, টিকটক আর হুয়াওয়ে এরইমধ্যে হুমকিতে চলে এসেছে। আরও অনেক প্রযুক্তি কোম্পানি ট্রাম্পের ব্ল্যাক লিস্টে আছে। চীনের বিরুদ্ধে অনেকদিন ধরেই মেধাস্বত্ব চুরির অভিযোগ দিয়ে আসছিলেন ট্রাম্প। ২০১৮ সাল থেকে শুরু হয় চীন-যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি-রফতানি পণ্যে শুল্কারোপ পাল্টা শুল্কারোপের যুদ্ধ। চীনা আমদানি পণ্যে ৪৫ হাজার কোটি ডলারের শুল্কারোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।
সমঝোতায় আসার কথাই ছিলো, কিন্তু গেলো ৬ মাসে সম্পর্কটা আরও বৈরি হয়ে গেছে। পাশাপাশি নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে পুরো বিশ্ব অর্থনীতিতে।
ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের প্রধান অর্থনীতিবিদ বলেন, পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হওয়ার আগেই দুই দেশের নীতি নির্ধারকদের এগিয়ে আসা উচিত।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোন চুক্তিতে না আসলে এখন দুই দেশেরই ভয়াবহ ক্ষতি হয়ে যাবে।
Discussion about this post