মেহেদী হাসান ,জামালপুর প্রতিনিধিঃ
নাশকতার পরিকল্পনা ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জামালপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদোয়ান ও যুগ্ম সম্পাদক শিবলী নোমান ইদ্রিসকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে সদর থানা পুলিশ।
১৯ জুলাই ভোররাতে তাদেরকে জামালপুর শহরের বাগানবাড়ি এলাকা থেকে আটক করা হয়। পরে এই দু’জনসহ অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গ্রেপ্তার আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদোয়ান জামালপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক। এর মধ্যে রেদোয়ান জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ মোঃ ওয়ারেছ আলী মামুনের বড় ভাই। তার বাসা শহরের কাচারিপাড়ায়। গ্রেপ্তার শিবলী নোমান ইদ্রিসের বাসা শহরের বাগানবাড়ি এলাকায়।
সদর থানা সূত্র জানায়, ১৯ জুলাই ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশের কাছে খবর আসে, জামালপুর শহরের বাগানবাড়ি এলাকায় জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক শিবলী নোমান ইদ্রিসের বাসায় বিএনপি ও জামায়াতের কিছু লোকজন নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে জমায়েত হয়ে গোপন বৈঠক করছেন। এ সময় সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. খায়রুল ইসলাম পুলিশ ফোর্স নিয়ে ওই বাসায় গেলে সেখানে উপস্থিত আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদোয়ান ও শিবলী নোমান ইদ্রিসসহ অজ্ঞাত আরও ২০-২৫ জন লোক পুলিশের ওপর হামলা করে। এ অবস্থায় রেদোয়ান ও শিবলীকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। হামলাকারীদের লাঠিসোঠার আঘাতে এসআই মো. সিরাজুল ইসলামসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত ও লাঞ্ছিত হন। পুলিশের ওপর হামলার খবর পেয়ে সদর থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছুলে হামলাকারী অন্যান্যরা পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় সদর থানার এসআই মো. খায়রুল ইসলাম বাদী হয়ে শিবলী ও রেদোয়ানসহ অজ্ঞাত ২০/২৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
তাদের বিরুদ্ধে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড সংঘটনের উদ্দেশ্যে জমায়েত ও বেআইনি জনতাবদ্ধে আইন-
শৃংখলা বাহিনীর ওপর হামলা, মারধর, সরকারি কাজে বাঁধা ও সরকারি সম্পত্তি ক্ষয়ক্ষতির চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল ইসলাম খান সাংবাদিকদের জানান, গ্রেপ্তার শিবলী ও রেদোয়ানকে ১৯ জুলাই রাতে মুখ্যবিচারিক হাকিমের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
Discussion about this post