জাকির হোসেন,শার্শা প্রতিনিধিঃ যশোরের শার্শার বাগুড়ী বেলতলা পাইকারি ফলের বাজারটি প্রায় ২০ বছর ধরে ইজারা বহির্ভূত থাকায় সরকার বছরে হারাচ্ছে প্রায় কোটি টাকার রাজস্ব। বাজারের একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট চক্র বিভিন্নভাবে ফল চাষি ও ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল অংকের টাকা। ফলে বাজারটি সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তর ইজারার মাধ্যমে রাজস্ব আদায় করার দাবি উঠেছে স্থানীয় জনগণ, ফল চাষি ও ব্যবসায়ীদের পক্ষে।
যশোর জেলার শার্শা উপজেলার কায়বা ইউনিয়নে অবস্থিত বাগুড়ী বেলতলা বাজারে প্রায় ৪৫০০ হেক্টর জমির আম বেচাকেনা হয়। এ আমের বাজার চলে তিন মাস ধরে। এখানে আম কিনতে ঢাকা,শরিয়তপুর, চাপাইনবাবগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে কয়েক হাজার পাইকারি ব্যবসায়ী আসেন। প্রতিদিন এ বাজার থেকে প্রায় ১/২শ ট্রাক আম লোড হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যায় এবং ৩/৪ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়। ১২০০ হেক্টর জমির কুল ও প্রায় ১০০০ হেক্টর জমির পেয়ারা এ বাজারে বেচাকেনা হয়। কুলের মৌসুমে বাজার চলে তিন মাস এবং এখান থেকে প্রতিদিন ৩০/৪০ ট্রাক কুল যায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। পেয়ারা প্রায় সব সময় চলে। এছাড়াও লিচুসহ অন্যান্য ফল বেচাকেনা হয় এ বাজারে।
বাজারে ২শতাধিক বিভিন্ন ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। অভিযোগ আছে, এখানে এ সিন্ডিকেট হাজারে ১০০ টাকা, ক্যারাট প্রতি ২৫ টাকা লেবার ও ট্রাক প্রতি ৩০০ টাকা কমিশন কাটে চাষি ও ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে। আবার ওষুধ স্প্রে বাবদ প্রশাসনের নাম ভাঙিয়েও নেয়া হয় টাকা। অস্বীকার করলে চক্রটি ভয়ভীতি দেখায়। নানা হুমকি ধামকিও দেয়। বাজারটি আগে ক্ষুদ্র আকারে চালু হলে সরকারের নজর ছিল না। এখন তা বিরাট আকারে চললেও সরকারের দৃষ্টি পড়েনি। এ বাজারে সিন্ডিকেট বিরাট অংকের লেনদেন করে থাকে। বাজারটি সরকার নিয়ন্ত্রণ করলে এখানে পাবলিক সিন্ডিকেট কোন ক্ষতি করতে পারবে না। বাজারটি সরকারি ইজারাভুক্ত হলে সরকার পাবে বিপুল অংকের রাজস্ব। আর সিন্ডিকেটের হাত থেকে রক্ষা পাবেন চাষি- ব্যবসায়ীরা।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা বলেন, বাগআঁচড়া বাজার সংলগ্ন আমাদের প্রত্যেক বছর আমের হাট বসে। এ বিষয়ে আমরা স্থানীয় কিছু মানুষের আবেদন পেয়েছি। এটা যদি ইজারা দেয়া হয় অথবা রাজস্ব আদায় করা হয় সেক্ষেত্রে সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আসার সম্ভবনা রয়েছে
Discussion about this post