পাকিস্তানের কোন প্রধানমন্ত্রী জনগনের ভোটে নির্বাচিত হয়ে পুরো মেয়াদ শেষ করতে পারেন না শুরু হয়ে যায় ষড়যন্ত্র হটাৎ আবার পাকিস্তানে এ কেমন সুর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে অযোগ্য ও ব্যর্থ আখ্যা দিয়ে তাকে উৎখাতের ডাক দিয়েছে জামিয়েত উলেমা এ ইসলাম ফজলের প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমান। তাকে সমর্থন করেছে বেশ কয়েকটি ডানপন্থী মুসলিম সংগঠন।
এই সংগঠনের পেছনে সমর্থন রয়েছে দুই বিরোধী দল পিএমএল-এন ও পিপিপি’র। একটি সম্মেলন ডেকে এই দুই দল ইমরান খানের সরকারের বিরুদ্ধে পথে নামার তোড়জোড় করছে। তাদের দাবি দেশ চালাতে পুরোপুরি ব্যর্থ ইমরান খান।
মাওলানা ফজলুর রহমান বলেন, পদে বসে থাকার কোনো যোগ্যতাই তার (ইমরান খান) নেই। যে এক বছর ক্ষমতায় রয়েছেন ইমরান খানের তেহরিক ই ইনসাফ, সেই গোটা বছর ধরেই অর্থসংকটে ভুগছে পাকিস্তান। এই সরকার নির্বাচনে জালিয়াতি করে ক্ষমতা পেয়েছে।
২৫ জুলাই যে নির্বাচন হয়েছিল, তা তাঁরা মানেন না বলেও দাবি করেন ফজলুর।
এদিকে, ইসলামাবাদের ডেমোক্রেসি চক থেকে তাদের বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে। ঘরে বাইরে বিক্ষোভের মুখে পড়ে বেশ চাপে ইমরান খান সরকার।
এদিকে, পাকিস্তান সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া একটি গোপন বৈঠক করেছেন। সেই বৈঠকে ছিলেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতিরা। কিন্তু অদ্ভুতভাবে উপস্থিত ছিলেন না পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এই বৈঠকের পরেই পাক সেনার সমস্ত বিভাগের কর্মী ও জওয়ানদের ছুটি বাতিল ঘোষণা করা হয়। তাঁদের প্রত্যেককে কাজে যোগ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। ১১১ ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেডের সব অফিসারদেরও এই একই নির্দেশ পাঠানো হয়। পাক সেনার ইন্টার সার্ভিস পাবলিক রিলেশন বা আইএসপিআর সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষার স্বার্থেই এই বৈঠক।
এই বৈঠকের পর উদ্বেগ আরও বেড়েছে। কারণ পাকিস্তানে যে কয়বার সরকার উৎখাত হয়েছে প্রত্যেকবারই ১১১ ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেড ব্য্যবহার করা হয়েছে। হঠাৎ তাদের ছুটি বাতিলে উত্তেজনা বেড়েছে।
তবে পাকিস্তানের কয়েকটি পত্রিকার খবর অনুযায়ী, দেশের অর্থনীতি সামাল দিতেই শিল্পপতিদের সাথে বৈঠক করেছে সেনাবাহিনী।
Discussion about this post