মেহেদী হাসান ,জামালপুর প্রতিনিধিঃ
২০২১-২২ অর্থ বছরের প্রথম পর্যায়ে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি ( ইজিপিপি) প্রকল্পের কাজ কবে নাগাদ কাজ শুরু হবে জানে না প্রকল্পের সভাপতিরা। তবে প্রকল্পের উপ-সহকারি প্রকৌশলী গত রোববার থেকে, আর বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বলছেন অফিসিয়ালি ভাবে গত বুধবার থেকেই কাজ শুরু হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন সূত্রে জানা গেছে,
উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ৬০টি প্রকল্পের মাধ্যমে ২ হাজার ৮১৪ জন তালিকা ভুক্ত শ্রমিক দিয়ে কাজ করার কথা। শ্রমিকরা দৈনিক ৪০০ টাকা হারে মজুরি পাবে। ওয়েজ কষ্ট প্রকল্পের ৪ কোটি ৫০ লাখ ২৪ হাজার টাকা ও নন ওয়েজ কষ্ট প্রকল্পের ২০ লাখ ৬৬ হাজার ৯১৫ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছরের ২০ ডিসেম্বরে শ্রমিক নির্বাচন করে ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে শ্রমিকদের জব কার্ড বিতরণের করে পহেলা জানুয়ারি থেকে প্রকল্পের এলাকায় সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার কথা।
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ইসলামপুর উপজেলার গোয়ালেরচর ও পলবান্ধা ইউনিয়নে সরেজমিন গিয়ে কোথাও কোন কাজের চিহ্ন বা শ্রমিক পাওয়া যায়নি।
গোয়ালেরচর ইউনিয়নের ৩৯ নং প্রকল্পে ইসলামপুর মোহাম্মদপুর পাকা রাস্তা জাফরের বাড়ি হতে দেলোয়ারের বাড়ি পর্যন্ত ৪০জন শ্রমিক দিয়ে রাস্তা মেরামত করার কথা। কিন্তু প্রকল্পের সভাপতি গোলাম মোস্তফা জানেন না, কবে নাগাদ শুরু হয়েছে প্রকল্পের কাজ।
তিনি জানান, ‘আমিতো জানিনা কবে থেকে শুরু প্রকল্পের কাজ। আপনার মাধ্যমেই জানতে পারলাম। যাই হোক ভাই কোন এই বিষয়ে পত্রিকায় না লিখার অনুরোধও করেন তিনি।
একই চিত্র দেখা যায়, ৪২ নং প্রকল্পে সভারচর নইদে বাড়ি থেকে কারীপাড়া ঈদগাহ মাঠ পর্যন্ত ৩৭ জন শ্রমিক দিয়ে রাস্তা মেরামত করার কথা। প্রকল্পের সভাপতি মনোয়ার হোসেন জানান, ‘কাজ শুরুর তো দুরের কথা। কে এই প্রকল্পের সভাপতি আমিতো তা নিজেই জানি না।’
পলবান্ধা ইউনিয়নের ৩৪ নং প্রকল্পে উত্তর সিরাজাবাদ পাকা রাস্তার মাথায় আছমতের বাড়ি থেকে বিশুর বাড়ি পর্যন্ত ৩৫ জন শ্রমিক দিয়ে রাস্তা মেরামত করার কথা। প্রকল্পের সভাপতি রুবেল মাহমুদ জানান, ‘কাজের নির্দেশ এখনো পাইনি নির্দেশ পেলে কাজ শুরু করবো’।
গোয়ালেরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাদশা জানান, আমার ইউনিয়নে ৮টি প্রকল্প রয়েছে। আজ মেম্বারদের কে নিয়ে বসে আলোচনা করে আগামী শনিবার থেকে কাজ শুরু করবো।
আজ শ্রমিকরা কাজ করে নাই তাদের মজুরি কি করবেন এ প্রশ্নে চেয়ারম্যান বলেন, আপনাদের জন্য তো বরাদ্দ রাখা আছে। আপনারা (সাংবাদিক) ঠিক থাকলে সবই ঠিক থাকবে।
পলবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব শফিকুল ইসলাম জানান, শ্রমিকদের তালিকা তৈরি করে পিআইও অফিসে দিয়েছি গত শনিবার। তারা এখনো জানায় নি কবে থেকে কাজ শুরু করা হবে।
তবে প্রকল্পের উপ-সহকারি প্রকৌশলী মামুন অর রশিদ জানান,গত রোববার থেকে কাজ শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান ও সচিবদের।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ( পিআইও) মেহেদী হাসান টিটু জানান, অফিসিয়ালি ভাবে গত বুধবার থেকে কাজ শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যারা এখনো কাজ শুরু করে নাই তাদের টাকা কাটা হবে।
Discussion about this post