আশিকুর রহমান, নাটোর প্রতিনিধি:
আগামী ২১ মে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নাটোরের বাগাতিপাড়ায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবুল হোসেনের দাবী ছাগল পালনে তার বাৎসরিক আয় ৩ লাখ ১০ হাজার টাকা। তবে, তার স্ত্রীর বলছেন, ছাগল লালন-পালন করে কোনো লাভ তো হচ্ছেই না বরং প্রতি বছরেই গুনতে হচ্ছে বড় অঙ্কের লোকসান। নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় ছাগল পালন থেকে বড় অঙ্কের অর্থ আয়ের কথা উল্লেখ করলেও বাস্তবতার সাথে তার কোনো মিলই নেই।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান পদের এই প্রার্থীর হলফনামা পর্যবেক্ষন করে দেখা যায়, হলফনামায় দুইটি আয়ের উৎস উল্লেখ করেছেন তিনি। যেখানে কৃষি খাত থেকে তার বাৎসরিক আয় ৫০ হাজার ও ছাগল পালন থেকে আয় করেন ৩ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। এছাড়া ৫০ হাজার টাকা মূল্যের একটি মোটরসাইকেল এবং কাছে থাকা নগদ অর্থের পরিমাণ ৭ লক্ষ ৬০ হাজার।
শনিবার (১৮ মে) দুপুরে সরেজমিনে এই প্রার্থীর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির একপাশে ছোট্ট একটি ঘরে দেশি ও ক্রস জাতের ৬ টি বড় ও ২ টি ছোট বাচ্চাসহ মোট ৮টি ছাগল রয়েছে।
এ সময় চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল হোসেনের স্ত্রীর সাথে কথা বললে তিনি জানান, তার স্বামী পছন্দ না করলেও এই ছাগল গুলো তিনি শখের বশে লালন-পালন করেন। আগে কিছুটা লাভ হলেও গো খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমানে ছাগল পালন করে কোনো লাভই হচ্ছে না। উল্টো ঘর থেকে টাকা দিয়ে ছাগলের খাবার কিনতে হচ্ছে। ছাগলের জন্য ধানের খড় কিনতে প্রতিবছর ঘর থেকে ব্যয় হয় ৬ হাজার টাকা।
এবিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবুল হোসেন বলেন, ‘আমার বড় কোনো খামার নেই। তবে, বাসাতেই দেশি ব্ল্যাক বেঙ্গল ও তোতাপুরী জাতের ৯ টি ছাগল আছে। সবসময় তো ছাগল থাকে না, কিনে আবার বিক্রি করে দিই।’
ছাগল পালন থেকে বছরে ৩ লাখ ১০ হাজার টাকায় আয় হয় কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বছরে ৩ লাখ না হলেও কাছাকাছি থাকে।’
এবিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাছুদুর রহমান বলেন, ‘হলফনামায় অসঙ্গতির বিষয় কমিশন দেখবেন। যদি কোনো অসঙ্গতি পাওয়া যায় তবে কোনো প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার পরেও তার পদ বাতিল হতে পারে।’
Discussion about this post