রানা মুহম্মদ সোহেল, বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার গাবতলী উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং সাবেক পৌর মেয়র মোরশেদ মিল্টন মঙ্গলবার (০২আগস্ট) কারামুক্ত হয়েছেন।
জেল গেটে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী তাঁকে শুভেচ্ছা ও অভ্যথনা জানান। পরে জেলা বিএনপির আহবায়ক ও পৌর মেয়র আলহাজ্ব রেজাউল করিম বাদশা ও সাবেক এমপি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু’র নেতৃত্বে আনন্দ মিছিল নিয়ে সরাসরি জেলা বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এ্যাডঃ একেএম সাইফুল ইসলাম, গাবতলী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক নতুন, সাংগঠনিক সম্পাদক মমিনুল হাসান মমিন, সাহাদত হোসেন খান সাগর, সাবেক যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক আশরাফ হোসেন, শাজাহানপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) আবুল বাশার ছাড়াও জেলা, গাবতলী ও শাজাহানপুর উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গদলের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী।
উল্লেখ্য, গত ২৯মে/২২ গাবতলীতে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজার রহমান পাইকারের দায়ের করা মামলায় গত ১৪জুলাই/২২ ৮৭জন আদালতে হাজিরা দিলে উপরোক্ত ৩জনের জামিন না মঞ্জু করে কারাগারের হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিজ্ঞ আদালত। এর আগে তাঁরা হাইকোর্ট থেকে ৬সপ্তাহের জামিন পেলে ১৭জুলাই জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তাঁরা আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত সকলের জামিন মঞ্জুর হলেও ৩জনের জামিন না মঞ্জু করেন।
পরে তাঁদেরকে কারাগারের হাজতে পাঠানো হয়। এঁরা হলেন মোরশেদ মিল্টন ছাড়াও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও নাড়ুয়ামালা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী মন্ডল ফিরোজ, পৌর যুবদলের সাবেক আহবায়ক ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারুন অর রশিদ হারুন। এ ছাড়া জেলা মহিলাদলের যুগ্ম সম্পাদক ও গাবতলী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সুরাইয়া জেরিন রনি গত ১৭জুলাই/২২ আদালতে হাজিরা দিলে তার জামিন না মঞ্জু করে কারাগারের হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিজ্ঞ আদালত।
পৌর মেয়র সাইফুল ইসলাম ও পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদ আব্দুর রহিম পিন্টুসহ ২৬জন গত ১৯জুলাই/২২ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে ২৪জনের জামিন হলেও সাইফুল ও পিন্টু’র জামিন না মঞ্জু করে ২জনকে কারাগারের হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিজ্ঞ আদালত। এর ৬জনের মধ্যে শুধু মোরশেদ মিল্টন এর হাইকোর্ট থেকে জামিন হলে মঙ্গলবার (০২আগস্ট/২২) তিনি কারামুক্ত হন। জেল গেটে তাঁকে এক নজর দেখতে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী ভিড় জমায়।
Discussion about this post