প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত পেতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে চিঠি দিয়েছেন ।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘে বাংলাদেশ
মিশনে যুক্তরাষ্ট্র সফরের শেষ দিনে নিউইয়র্কে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান
প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়া দেশে চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযান প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন,
‘দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার কু-প্রভাব যাতে দল ও সরকারে না পড়ে সে জন্যই দুর্নীতিবিরোধী
অভিযান চলছে।’ এতে অনেকে অখুশি হলেও তার কিছুই করার নেই বলেও জানান শেখ হাসিনা।ওয়ান-ইলেভেনের ঘটনা যাতে
পুনরাবৃত্তি না ঘটে এবং জনগণ যেনে উন্নয়নের
সুফল পায়, সে জন্যই দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান
চলছে ও চলবে। কোনো অপরাধীই ছাড় পাবে না।
তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরোও বলেন, বস্তায় বস্তায় টাকা লুকিয়ে রাখা হচ্ছে। ওয়ান ইলেভেনের সময়ও আমরা এমনটাই দেখেছিলাম।দেশে আর কোনো ওয়ান ইলেভেন হতে দেব না। কোনো অন্যায় হলে তার ব্যবস্থা আমি নিজেই নেব। সেটা যেই হোক। বিচার করতে হলে আগে ঘর থেকেই শুরু করতে হয়। আমিও তাই শুরু করলাম।
২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও
গুতেরেসের মধ্যাহ্নভোজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কিছু সময় কথোপকথন হয় মার্কিন
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের।
ওই দিন একই টেবিলে মধ্যাহ্নভোজ সারেন দুই নেতা। এ সময় প্রধানমন্ত্রী একটি ফাইল
হস্তান্তর করেন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। সফরের শেষ দিন নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের
জবাবে শেখ হাসিনা খোলাসা করেন বিষয়টি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিকে ফেরত চেয়ে মার্কিন
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠি দিয়েছেন।জাতির পিতার খুনিরা যুক্তরাষ্ট্রেই রয়েছে।
তাদের ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে
জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
Discussion about this post