বগুড়ায় ১২০ বিঘা জমিতে ধানগাছ দিয়ে পাখির চোখে রংতুলিতে আঁকা হয়েছে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ প্রতিকৃতি। এর সুবাদে বাংলাদেশ স্থান করে নিয়েছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ শস্যচিত্র অঙ্কনকারী দেশ হিসেবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে বিশাল ক্যানভাসে আঁকা হয়েছে ওই শস্যচিত্র। যেখানে মাত্র ৩০ দিনে সবুজ ও বেগুনি ধান চারায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর মুখচ্ছবি। এটি করা হয়েছে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম বালেন্দায়।
এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি বালিন্দা গ্রামের ওই মাঠে প্রথম চারা রোপণের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ ক্যানভাসের।
ন্যাশনাল অ্যাগ্রিকেয়ারের সহযোগিতায় এমনই ব্যতিক্রম আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে শস্যচিত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদ।
জানা গেছে, বঙ্গবন্ধুর শস্যচিত্রটির আয়তন হচ্ছে ১২ লাখ ৯২ হাজার বর্গফুট বা এক লাখ ২০ হাজার বর্গ মিটার। এর আগে ২০১৯ সালে ৮ লাখ ৫৫ হাজার ৭৮৬ বর্গফুট আয়তনের শস্যচিত্র তৈরি করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করে চীন। চীনের চেয়ে ৪ লাখ ৩৭ হাজারেরও বেশি আয়তনের শস্যচিত্র হতে যাচ্ছে এটি।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের কাছে শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর ভিডিওসহ সব দালিলিক কাগজপত্র পাঠিয়েছে বাস্তবায়নকারী সংস্থা, যা ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে বিশ্বের সর্ববৃহৎ শস্যচিত্র হিসেবে উদ্বোধন করা হবে।
এদিকে প্রথমবারের মতো গিনেস বুকে স্থান পেয়ে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করবে বলে আশাবাদ জানিয়েছেন চিত্রকর্মটি বাস্তবায়নকারী ন্যাশনাল অ্যাগ্রিকেয়ারের ব্যবস্থাপক আসাদুজ্জামান।
আর প্রকল্পের প্রধান আশেক এ ইলাহী অনি জানালেন কীভাবে সম্পন্ন হয়েছে ওই কর্মযজ্ঞ। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, চারা রোপণের আগে প্রায় দুই মাস ধরে ১০০ জন বিএনসিসি কর্মী ও ৩০ জন কৃষককে নিয়ে কাজ শুরু হয়। প্রথম চারা রোপণের উদ্বোধন করা হয় ২৯ জানুয়ারি। ছক অনুযায়ী ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি শেষ হয় চারা রোপণের কাজ। আর মার্চের প্রথম দিন থেকেই দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে জাতির পিতার প্রতিকৃতি। আগামী ১৪৫ দিন দৃশমান থাকবে ওই শস্যচিত্রটি।
Discussion about this post