রাজধানীর বিএএফ শাহীন কলেজের ছাত্র আহনাফ। বয়স মাত্র ১৭ বছর। গত ৪ আগস্ট রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বরে ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় সে। তার পরদিন বাংলাদেশে এক অভিনব গণঅভ্যুত্থান ঘটে। দেশজুড়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ ও দেশত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান।
কিন্তু অভ্যুত্থানের সফল সমাপ্তি দেখা হয়নি বুলেটবিদ্ধ আহনাফের। বিজয়ের উদিত সূর্যের কয়েক ঘণ্টা আগে জীবন বাতি নিভে যায় তার।
আজ রোববার (১৮ আগস্ট) দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয় সরকার। ক্লাসরুমে পরীক্ষার টেবিলে বিএফ শাহীন কলেজের শিক্ষার্থীরা ফিরলেও ফেরেনি আহনাফ। যে টেবিলটাতে সে বসতো, সেই টেবিল ছিল আজ ফাঁকা। আহনাফের স্মরণে তার সিটটাতে ফুল রেখেছে বন্ধুরা। ‘তারে স্মরণ করে সবাই সাজায় ফুলের ডালা’।
তার পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে জানা যায়,আহনাফের সপ্ন ছিল আকাশ ছোঁয়া।
সে নিজেই বলতো বড় হয়ে সে এমন কিছু করবে, যার জন্য তাকে নিয়ে গর্ব করবে সবাই। এমন অকাল মরণে কি গর্বিত হতে চেয়েছিল তার পরিবার?
Discussion about this post