রাকিব হোসেন, জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাট শহরের রুপনগর এলাকার বাড়ির মালিক শেফালি বেওয়া (৬৫) কে হত্যার দায়ে ভাড়াটিয়া ঝর্ণা আক্তার নিলা (২১) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ঝর্না আক্তার কুমিল্লা মুরাদনগর পরমতলা গ্রামের মুনসুর খাঁনের মেয়ে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, জয়পুরহাট শহরের রুপনগর এলাকায় শেফালি বেওয়া একা বসবাস করতেন। সেই বাসায় ঝর্না আক্তার ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে। সম্পৃতি ঝর্না আক্তার জর্ডানে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকে, এতে তার টাকার প্রয়োজন ছিল। ঝর্না বাড়ির মালিক শেফালির নিকট থেকে টাকা চায়। গত ১৩ মার্চ শেফালি একটি গরু বিক্রয়ের জন্য বায়না হিসেবে ৩০ হাজার টাকা নেয়। এরপর ওইদিনই রাত সাড়ে ১০ টার দিকে শেফালি বেওয়া মারা যায়। বিষয়টি ১৪ মার্চ সকালে ঝর্না নিহত শেফালির পরিবারকে মুঠোফোনে জানায় আপনার বোন দরজা খুলছে না। পরে পরিবারের লোকজন আসার আগেই দেখা যায় দরজা খোলা এবং ভেতরে গিয়ে শেফলির লাশ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্ট্রোক করে মারা গেছে বলে ঝর্না শেফালির পরিবারকে জানায়। এটা জেনে শেফালির লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। পরে ঝর্নার আচরণ দেখে সন্দেহ হলে স্থানীয় লোকজন, তার গতিবিধি ও ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ঝর্না বিদেশ যাওয়ার টাকার জন্য ওই ৩০ হাজার টাকা নিতে গিয়ে শেফালি বাধা দিয়ে শিল দিয়ে তাকে মাথাসহ মুখে আঘাত করে হত্যা করে বলে স্থানীয়দের নিকট বিষয়টি স্বীকার করে। এরপর ১৬ মার্চ সকালে ঝর্না শেফালিকে হত্যার বিষয়টি পুলিশের নিকট স্বীকার করে। পুলিশ ওই ৩০ হাজার টাকা সহ ঝর্না আক্তারকে গ্রেফতার করে।
জয়পুরহাট থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, শেফালি হত্যার বিষয়টি ঝর্না স্বীকার করেছে এবং ৩০ হাজার টাকা সহ ঝর্নাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে মামলা সহ তাকে আদালতে পাঠানো হচ্ছে। আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Discussion about this post