আশিকুর রহমান,নাটোর প্রতিনিধি:
গত ২৮ নভেম্বর ৩য় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অবৈধভাবে নৌকার কর্মীদের উপর পুলিশের নির্যাতন, হয়রানী ও ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে পুনরায় নির্বাচনের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নাটোরের লালপুর উপজেলার ২নং ঈশ্বরদী ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী আমিনুল ইসলাম জয়। বুধবার সকাল ১১ টায় তার নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তার কর্মী সমর্থকদের উপর পুলিশ ও বিএনপি কর্মীদের নির্যাতন এবং ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ তুলে বলেন, নির্বাচনে বিএনপির পক্ষ নিয়ে পুলিশ আমার নেতাকর্মীদের নির্যাতন ও হয়রানী করেছে।
এছাড়াও, ভোটের দিন নৌকার কিছু কর্মীরা ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার পথে এসআই হিমাদ্রী হালদার ও এএসআই রানা মিয়া নির্যাতন করে নৌকায় ভোট না দিতে হুমকি প্রদান করেন। এসময় ওই নৌকার কর্মীরা জনৈক নিরেন কর্মকরের বর্নকুঠিরে অবস্থান নিলে সেই দুই পুলিশ সদস্য তাদের উপর পুনরায় নির্যাতন করে বর্নকুঠিরের একটি চৌকি ভেঙে ফেলে। আজিজুর রহমান নামের আরেক নৌকার কর্মীকে একটি ঘরে দিনভর আটকে নির্যাতন করে এসআই হিমাদ্রী হালদার। একই দিন তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী মুজাহিদ ও ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রার্থী হাবুবুর রহমান পুলিশের নির্যাতনের শিকার হয়।
একই সময় নৌকার বিপক্ষে কিছু আওয়ামীলীগ নেতার অবস্থানেরও প্রতিবাদ করেন তিনি। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুল হক আতিক, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদ শফিকুল ইসলাম স্বপন, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা নৌকার বিপক্ষে নির্বাচন করেছেন। আমি এ বিষয়ে দলীয় হাইকমান্ডের নিকট তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানাই।
এ বিষয়ে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ফজলুর রহমান বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ করতে যে সকল আইনী পদক্ষেপ দরকার ছিলো তার সবই করা হয়েছে। তবে ঈশ্বরদী ইউপিতে নৌকার কর্মীদের উপর দুই পুলিশ সদস্যের নির্যাতনের বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Discussion about this post