মাও:রেজাউল করীমঃ
বিবেককে ধ্বংস করে দেয় এমন প্রধান বস্তু হলো মদ বা মাদক।সমাজআজঅন্ধকারচ্ছন্ন মাদকের থাবায়।মাদক সেবন করে যুবসমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তাদের জীবনকে অকালে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। দিন যতই বাড়ছে ততই মাদক সেবনের তীব্রতা বেড়েই চলছে।বিবেককে অবলুপ্ত করে দেয় এমন বস্তুকে মদ বা মাদক বলে।
সকল মুসলিম চিন্তবিদ মদ হারাম হওয়ার ব্যাপারে একমত পোষন করেছেন।মহান আল্লাহ তায়ালা মাদকের ব্যপারে তার কালামে হাকিমে ইরশাদ করেন,”হে ইমানদারগন,নিশ্চয়ই মদ,জুয়া,মূর্তি এবং ভাগ্য নির্দেশক শরসমূহ অপবিএ,শয়তানের কাজ।সুতরাং তার থেকে বিরত থাকলেই সফলকাম হবে। নিশ্চয়ই শয়তান মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করতে চায়,তবুও কি তা থেকে নিবৃত হবেনা।এ গুলো তোমাদেরকে আল্লাহর জিকির ও নামাজ থেকে বিরত রাখতে চায়।তবুও কি তোমরা (একাজগুলো থেকে)বিরত থাকবেনা?”(মায়েদা ৯০-৯১)
মহান আল্লাহ তায়ালা আরো ইরশাদ করেন,”তোমরা অপচয় করো না।নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়াল অপচয়কারীদের পছন্দ করেন না”(আনআম ১৪১)
রাসুললুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামমাদক সেবনকারীরর শাস্তির ব্যপারে ইরশাদ করেন,মদ্যপায়ী ব্যক্তি মৃত্যুর পর মূর্তিপূজারীর ন্যায় আল্লাহ তায়ালারর সাথে সাক্ষাত করবে।”(মুসনাদে আহমদ ,মু’জামুল কাবির লিত তবারানি)
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি আরো ইরশাদ করেন,”মদ্যপায়ী জান্নাতি হবে না। (আল হাদিস)
মাদক সেবনের দ্বার শুধু একজন ক্ষতি গ্রস্ত হয়না বরং পুরা সমাজকে ক্ষতি সাধন করে।মাদক সেবনকরার ফলে তার লজ্জা ও ব্যক্তিত্ব বিনষ্ট হয়ে যায়।যার ফলে তার দ্বারা সমাজে অনেক অপকর্ম ও ন্যাক্কারজনক কাজ সংঘঠিত হয়।মাদকের কারনে অর্থ বিনষ্ট হয়।মাদক সেবনের দ্বারা শারীরিক ক্ষতি হয়,দেহ ও হ্রদপিন্ডকে দুর্বল করে দেয়।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,”কোন ব্যক্তি ইমানদার অবস্হায় মদ পান করেনা।”(মুসনাদ আহমদ ,মুসান্নাফে আব শায়বা।নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ,মদ পানকে সকল অপকর্মে মূল বলেছে।
তিনি আরো ইরশাদ করেন,”তোমরা মদ পান করো না,কেননা মদ সকল অনিষ্টের চাবিকাঠি ।”(ইবনে মাজাহ)
অত:এব,সকলে জানা থাকা দরকার যে, মাদক সেবন করা স্বাস্থ্যর জন্য যেমন ক্ষতি তেমনি আত্মার জন্য এবং সম্পদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক।
তাই আসুন আমরা সম্মেলিত ভাবে মাদকের বিরুদ্ধে রুকে দাড়াই।মাদক কে না বলি,সুন্দর মোদের দোশ গড়ি।
Discussion about this post