মাও:রেজাউল করীমঃ
“মহান আল্লাহ তায়ালা তার কালামে হাকীমে পিতা-মাতা সম্পর্কে বর্ণনা করেন, আমি তোমাদেরকে নির্দেশ করিতেছি আমাকে ছাড়া অন্য কাহারও উপসনা করো না,আর নিজ পিতা-মাতার প্রতি সুন্দর ব্যবহার কর।যদি তোমার সামনে তাদের একজন বা দুইজন বার্ধক্যে উপনীত হয়,তাহলেও তাদের সামনে টু শব্দটিও করোনা বা তাদের প্রতি রুক্ষ আচারণ করো না এবং তাদের সাথে আদবের সাথে কথা বল এবং তাদের সামনে নম্র ও বিনীতভাবে ঝুকে থাক,আর তাদের জন্য দোয়া করতে থাক।হে আল্লাহ, আমার পিতামাতারর প্রতি দয়া প্রদর্শন কর,যেমনি তারা ছোট কালে আমাকে লালন পালন করেছেন”।(বনি ইসরাইল ২৪)
হাদীস শরীফে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি তার পিতা -মাতা পেয়েও জান্নাত কামাই করতে পারেনি তার জীবনটাই মাটি হয়ে গেছে।
সকলের মনে রাখা উচিত যে,তুমি মায়ের গর্ভে আসার পর হতে ভূমিষ্ট হওয়া পর্যন্ত তোমার মাকে কত কষ্ট করতে হয়েছে।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, “আমি মানুষকে তার মাতা-পিতার সম্পর্কে বারংবার তাগিদ দিয়েছি যে, তার মা কষ্টের পর কষ্ট স্বীকার করে তাকে গর্ভ ধারণ করেছে।দু’বছর বুকের দুধ দান করেছে।তাই তোমার মাতা-পিতার শোকরিয়া আদায় কর।মনে রাখবে,অবশেষে তোমাকে আমার কাছে ফিরে আসতেই হবে।”(লোকমান ১১)
সকলের একথা মনে রাখা উচিত,তুমি মায়ের গর্ভে আসার পর হতে ভূমিষ্ট হওয়া পর্যন্ত তোমার মাকে কত কষ্টইনা স্বীকার করতে হয়েছে।
মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন,”আমি মানুষকে তার পিতামাতারর সম্পর্কে বারংবার তাগিদ দিয়েছি যে,তার মা কষ্টের পর কষ্ট স্বীকার করে তাকে গর্ভ ধারন করেছে।দু’বছর বুকের দুধ দান করেছে।তাই তোমরা মাতা-পিতার শোকরিয়া আদায় কর।মনে রাখবে,অবশেষে তোমাকে আমার কাছে ফিরে আসতেই হবে।”(লোকমান ১১ রুকু)
হযরত আলী (রা:)বলেন,তোমার মাকে যদি তোমার গায়ের চামড়া দিয়ে জুতা বানাইয়া দাও তার পরও তোমার মায়ের এক ফোটা দুধের মূল্য পরিশোধ করা যাবেনা । (তালিমুল মুতাআল্লিম)
বাপের চেয়ে মায়ের হক তিন গুন বেশি হওয়ার অধিকার রাখে, কারণ প্রসব বেদনা সহ্য করা।দু’বছর দুধ পান করার কারণে।রাএের পর রাএ জেগে মলমূত্রাদি পরিষ্কার করে।
তোমার আরামের জন্য তার সব জান মাল তুচ্ছ মনে করে।উঠতে বসতে হাটতে চলতে সবসময় ধৈর্যের সাথে সাহার্য্য করে।যৌবনেও তোমার কষ্ট লাগব করার জন্য সর্বদা চেষ্টা করছে।(ইত্যাদ)
মা হলো জীবনপথ সুন্দর করার পাথেও। তিনি আমাদের প্রথম শিক্ষার কেন্দ্রবিন্দু।তিনি আমাদের কে পৃথীবিতে ভালোবাসা ও মমতা শিখিয়েছেন।যারা তোমার সব কদাচার ও মলমূত্রাদিকে হাসি মুখে বরদাস্ত করেছে,তোমার রোগে শোকে সজল নয়নে রাতের আরামকে হারাম করেছে, নিজে উপোষ থেকে তোমাকে তৃপ্তি সহকারে খাওয়াইছে,তোমাকে ভালো পড়ায়ে নিজে জীর্ণ কাপড় পড়েছে।
তোমার রোগে শোকে তারা ধৈর্যের সাথে সময় কাটিয়েছে।তোমার বিপদে তাদের জান দিয়ে তা মাথা পেতে নিতে প্রস্তুত হয়েছে।তোমার সুখের জন্য রাতকে রাত দিনকে দিন মনে করেনি।
আজ যদি সেই পিতা-মাতার দয়ার কথা স্মরণ না করি,তাহলে এর চেয়ে অধিক নাফরমানি আর কি হতে পারে।
তাই কবির ভাষায় বলি, বনে থাকে বন বাদুরী ছাও ঝোলে তার কোলে,এমনি মায়ে ছাও ছাড়েনা পড়লে হাজার দুখে।বিদেশেতে যদি কারো সন্তান মারা যার,পশু পাখি জানার আগে জানে তাহার মায়।
হযরত আবু হোরায়রা (রা)বলেন,এক ব্যক্তি হযরত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এসে প্রশ্ন করে বলেন-হুজুর দুনিয়াতে শ্রদ্ধার ,সৎ আচারনের সত্যিকারে হকদার কে?হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-তোমার মা।সে আবার বললেন, তার পর কে?তিনি বলেন তোমার মা।আবার প্রশ্ন করলেন তার পর কে?তিনি উওর দিলেন ,তোমার মা। চতুর্থ বার প্রশ্ন করা হলো তার পরকে,এবার বললেন তোমার বাবা।
এক সাহাবী বলেন,যদি তাহারা সন্তানের প্রতি অত্যাচার করে?উওরে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনবার বলেন,হ্যা যদিও তারা অত্যাচার করে,হ্যা যদিও তারা অত্যাচার করে,যদিও তারা অত্যাচার করে।(বোখারী ও মুসলিম )
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো ইরশাদ করেন,মায়ের পদতলে সন্তানের বেহেশত ।(বোখারী শরীফ )
মাতা-পিতা মোশরেক হলেও তাদের সাথে সৎ আচারন করতে হবে।সেবা যত্ন,আাদর আপ্পায়ন করা সন্তানে দায়িত্ব ।পিতা-মাতার দোয়া সন্তানের জন্য কবুল।(আল হাদীস)
মহান আল্লাহ তায়ালার কালামে ও রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার হাদীসে পিতামাতার দায়িত্ব ও কর্তব্য বিষয়ে জোড় তাগিদ দিয়েছন।
তাই আসুন ,কোরআন ও হাদীস অনুযায়ী জীবন গড়ি,পিতা-মাতার সেবা করি।(আমিন)
Discussion about this post