জাকির হোসেন, যশোর প্রতিনিধিঃ
যশোরে ব্যাংক এশিয়ার গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎকারী প্রতারক চক্রের ৪ সদস্য ও অবৈধ পথে ভারত গমনাগমনের সহযোগী ৩ সদস্যসহ ৭ জনকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ।
জেলা পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাঘারপাড়া থানাধীন চতুরবাড়ীয়া বাজারে ব্যাংক এশিয়া এজেন্ট শাখার এজেন্ট আনোয়ার জাহিদ ও তার সহযোগীরা ( ২০২০-২০২১) সালে ৩৪ জন গ্রাহকের আমানতের টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে প্রতারণা করে আনুমানিক মোট ৪১,০০৬০০/- ( এক চল্লিশ লক্ষ ছয়শত) টাকা আত্মসাৎ করে আনোয়ার জাহিদ আত্মগোপন করে।
এই ঘটনায় আনোয়ার জাহিদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ব্যাংক এশিয়ার পক্ষে রিলেশনশিপ অফিসার লিকো আহম্মেদ বাদী হয়ে মামলা করে।মামলাটি চাঞ্চল্যকর হওয়ায় পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, বিপিএম (বার), পিপিএম তদন্তের জন্য জেলা গোয়েন্দা ডিবি পুলিশকে দায়িত্ব দেন। এবং পুলিশ সুপারের দিক-নির্দেশনায় ওসি ডিবি সোমেন দাশের নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) রুপন কুমার সরকার, পিপিএম, (এসআই) মফিজুল ইসলাম, পিপিএম ও (এসআই) আরিফুল ইসলাম, (এসআই) শামীম হোসেনের সমন্বয়ে ডিবির একটি চৌকশ টিম (০৬ জুলাই) রাত থেকে( ০৭ জুলাই) সকাল পর্যন্ত যশোর জেলার বাঘারপাড়া থানার খাজুরা,হালদা এলাকায়, বেনাপোর্ট পোর্ট থানা এলাকায় এবং চৌগাছা ও কোট চাঁদপুর, ঝিনাইদহ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রতারণা ও গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ চক্রের ০৪ সদস্যসহ মূল হোতা প্রধান আসামী আনোয়ার জাহিদ অবৈধপথে সীমান্তবর্তী দেশ ভারতে গমনাগমনের সহযোগীতার অপরাধে ০৩ জনকে গ্রেফতার করে।
আটকরা হলেন– (১) মোঃ আনোয়ার জাহিদ (৪৫), পিতামৃত- জিন্দার আলী মোল্লা, গ্রাম- হালদা, (২) মোঃ মুশফিকুর রহমান @ রতন (৩০), পিতা-মোঃ আবু বাক্কার কাজী, গ্রাম–ছয়ঘড়িয়া, থানা-শালিখা, জেলা- মাগুরা,এ/পি গ্রাম–খাজুরা বাজার (শ্বশুর মাওঃসোলাইমান এর বাসা), (৩) মোঃ মাজেদ মোল্লা (৫০), (৪)মোঃ আব্দুল আজিজ মোল্লা (৪৮), উভয় পিতামৃত জিন্দার আলী মোল্লা, গ্রাম -হালদা,সর্বথানা- বাঘারপাড়া, তদন্তে প্রাপ্ত আসামী (৫) মোঃ শাহিন হোসেন (৩৫),পিতামৃত- আব্দুল হোসনে, সাং- বানিয়াবহু পশ্চিমপাড়া, থানা-কোতয়ালী,(৬) মোঃ রজ্জত আলী (৪৫),পিতা মৃত-আয়না ঢালী,সাং মহিষাডাঙ্গা (মাঝেরপাড়া) বারোপোতা,(৭) মোঃ ইমানুর হোসেন,(৫২),পিতা-রবিউল ইসলাম, সাং-শিকড়ী পশ্চিমপাড়া।
এসময় আসামীদের ব্যবহৃত ৪টি মোবাইল,২৭টি গ্রাহকের আমানত জমা বই ( যাহা প্রতারক আনোয়ার জাহিদ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত ও গোপনকৃত) এবং আত্মসাৎকৃত নগদ ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকা উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে একাধিক জাল জালিয়াতি ও চেক ডিজ-ওনার মামলা আছে বলে জানায় পুলিশ।
Discussion about this post