যশোর জেলা প্রতিনিধি, মনিরুজ্জামান মনির :
আইডিয়া পিঠা পার্কে ‘পিঠা পার্বণ’ উৎসবে গাছি সম্মাননা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে।বাংলাদেশের প্রাচীন ঐতিহ্য পিঠা সময়ের ব্যবধানে গ্রহণযোগ্যতা কমেছে বেশ। কিন্তু পিঠার ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ২০১৭ সালে ভিন্ন সংগ্রামে নামে আইডিয়া পিঠা পার্ক। নতুন প্রজন্মের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পিঠার পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠিত আইডিয়া পিঠা পার্ক সংগঠনটি ৬ বছর পূর্ণ করেছে। এখানে কলেজ শিক্ষার্থীদের বিকল্প উপার্জনের একটি মাধ্যম। কিন্তু এ প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশের কিছু অংশ দিয়ে চলছে বিভিন্ন সামাজিক কাজও। আইডিয়া পিঠা পার্কের যাত্রা শুরু হয়েছিল ১০১ রকম পিঠা দিয়ে। কিন্তু বর্তমানে ১৩০ প্রকার ঝাল-মিষ্টি পিঠা পাওয়া যায় এখানে। যেসব পিঠা দাদি-নানিদের স্পর্শ ছিল কিন্তু বর্তমানে হারিয়ে বসেছে এ সব পিঠা। শীতকালে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এখানে পিঠার স্বাদ নিচ্ছে সকল প্রকার মানুষ।
গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৬ টায় যশোর খড়কির শাহ্ আব্দুল করিম রোডের আইডিয়া পিঠা পার্কের আয়োজনে এ অনুষ্ঠান করা হয়। অনুষ্ঠানে শ্রোতাদের আকর্ষণ হিসাবে ছিলো ‘ঠিলে ধুয়ে দে বউ গাছ কাটতি যাবো’ নাটক। আর এ নাটকের প্রযোজনায় ছিলেন হামিদুর রহমান এবং গ্রন্থনায় ছিলেন, সেমা খান ও মিতালি বালা। এ নাটকের অভিনয়ে ছিলেন আইডিয়ার ছেলে এবং মেয়েরা। এ নাটক দেখে দর্শক শ্রোতারা মুগ্ধ হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আইডিয়া পিঠা পার্কের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান উপদেষ্টা হামিদুল হক শাহীনের সভাপতিত্বে গোলাম হোসেন এবং আশরাফ হোসেনকে গাছি সম্মাননা প্রদানকরা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক কল্যাণ পত্রিকার সম্পাদক একরাম-উদ-দ্দৌলা, নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালসের সেলস ম্যানেজার আজমল হুদা, এসিআই’র মার্কেটিং ম্যানেজার মিজানুর রহমান মিজান, এরিস্টো ফার্মাসিউটিক্যালসের এরিয়া ম্যানেজার আব্দুর রউফ এবং এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালসের সেলস ম্যানেজার টিপু সুলতান প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন, আইডিয়া যুব উন্নায়ন কেন্দ্রের সভাপতি তানজিয়া জাহান মমতাজ, সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, সমন্বয় সোমা খান, স্পোকেনের সমন্বয়ক নাবিলা সুলতানা এবং গুরুপের নির্বাহী প্রধান মল্লিকা আফরোজ প্রমুখ।
Discussion about this post