ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠির রাজাপুর থানার এসআই শাহ আলমের বিরুদ্ধে ৫০হাজার টাকা না দেয়ায় চারাখালী গ্রামের গরু ব্যাবসায়ী মো: কবির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ন’টায় ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে মো: কবির হোসেনের স্ত্রী সুমা বেগম সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এ সময় তার দেবর দবির হোসেন উপস্থিত ছিলেন। মামলায় কবির হোসেন সাথে তার বৃদ্ধ পিতাকেও গরু চুরির মামলায় আসামী করা হয়েছে। অভিযোগ তুলে না নিলে সুমার স্বামী কবির হোসেন ও শ্বশুর ছোহরাব হোসেনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতনের ভয় দেখাচ্ছেন ওই এসআই। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সুমা বেগম ও তঁার পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে সুমা বেগম লিখিত বক্তব্যে দাবী করেছেন, গত ১৭ এপ্রিল থানার এস আই শাহ আলম স্থানীয় বাবুল দাড়িয়া সহ সেলিম মৃধা, শামিম মৃধা, দুলাল ফরাজী, নয়ন ফরাজী, কালাম বেপারী, মাহিম মৃধা, মাঈনুল ফরাজী, কাওসার বেপারী ও মাসুম বেপারী সহ আরও অজ্ঞাতনামা কয়েকজন নিয়ে কবির হোসেনের বাড়ীতে আসে। তখন এই বাড়ীতে শুধুমাত্র মহিলারা উপস্থিত ছিলেন। এস আইর নেতৃত্বে মো: কবির হোসেনের পরিবারের মহিলা সদস্যদেরকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। এস আই সুমা বেগমকে ৫০ হাজার টাকা দিলে মিটমাট করে দেওয়ার কথা বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। এই ঘটনাটি তুলে ধরে এস আই শাহ আলমের কর্মকান্ড ও আচরণের বিরুদ্ধে ২০ এপ্রিল বরিশাল ডিআইজির কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।২২ এপ্রিল রাতে বাবুল দাড়িয়াকে থানায় ডেকে এনে কবির হোসেন ও তার পিতা সোহরাব হোসেন সহ অজ্ঞাত আরও দু’তিন জনকে আসামী করে রাজাপুর থানায় মিথ্যে একটি গরু চুরির মামলা রেকর্ড করার দাবী করেন সুমা বেগম। এ ব্যাপারে এস আই শাহ আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান. বাদী বাবুল দাড়িয়াসহ এলাকার কয়েকজনকে নিয়ে একটি বাছুর চুরির মামলা রেকর্ডের পূর্বে প্রাথমিক সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তিনি কবির হোসেনের বাড়িতে গিয়েছিলেন। তবে তার বিরুদ্ধে অন্য অভিযোগগুলি ভিত্তিহীন।
Discussion about this post