রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলা পরিষদ চত্বরে তৈরি হওয়া বঙ্গবন্ধুর মুরাল প্রকৌশলীর খামখেয়ালির কারণে ভেঙ্গে নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে।এ নিয়ে ইউএনও স্বয়ং সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
সারা দেশে প্রতিটি উপজেলা পরিষদে সরকারি নির্দেশনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুরাল তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়। এরই অংশ হিসেবে রাণীশংকৈল উপজেলা পরিষদ চত্বরে টেন্ডার আহবানের মাধ্যমে মুরাল তৈরি সম্পন্ন হয়।
কিন্তু কাজটি ইস্টিমেট ও ডিজাইন অনুযায়ী না হওয়ায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী আফরিদা কাজটি বুঝে নিতে অস্বীকৃতি জানান এবং মুরালটি পূনরায় সঠিকভাবে নির্মাণের জন্য প্রকৌশলীকে নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, উপজেলা পরিষদে সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৭-২০১৯-২০ এলটিএম নং নোটিশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুরাল গত ২৪ ফেব্রুয়ারি টেন্ডার আহবান করে। ১০ মার্চ সিডিউল বাছাই করে গুলনাহার এন্টারপ্রাইজ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ করা হয়। কিন্তু কাজটির নির্মাণের শেষ প্রান্তে তার ব্যাপক ত্রুটি ধরা পড়ে।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ঠ ঠিকাদারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, প্রকৌশলীর পরামর্শ মতে কাজটি করা হয়েছে।
এ নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মহলে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
২১ সেপ্টম্বর সোমবার সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে তৈরিকৃত মুরালটি ভেঙ্গে ফেলে নতুুুন করে তার কাজ শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীর অবহেলার কারণে বঙ্গবন্ধুর মুরাল ভাঙ্গা-গড়ার ঘটনায় উপস্থিত অনেকেই অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা বলেন, উপজেলা পরিষদে জাতির পিতার মুরাল তৈরির বিষয়টি শুধুমাত্র প্রকৌশলীর দায়িত্বহীনতার কারনেই এ অবস্থা হয়েছে। এতে আমি ভীষণ ক্ষোভ প্রকাশ করছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী তারেক বিন ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “সমস্যা হয়েছে ভেঙে ফেলেছি। আপনাদের কি লেখার আছে লেখেন”। এ বলে তিনি ফোন কেটে দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী আফরিদা জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর মুরাল তৈরির কাজটি তারা ডিজাইন অনুযায়ী করতে পারেনি। তাই আমি ডিজাইন অনুযায়ী কাজটি বুঝে নেব।
Discussion about this post