নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
অর্থের প্রলোভন দেখানোসহ নানা কৌশলে নারী পাচারের সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন মাইনুদ্দিন। তার সহযোগী রানী নামে আরও এক নারী। এই দুইজন মিলে দুই বছরে শতাধিক নারী পাঁচার করেছে। দুবাই যত ক্লাব আছে সব ক্লাব এ মেয়ে পাচার করেন বাংলাদেশের এজেন্ট মাইনুদ্দিন ও তার সহকারী রানী |
চলতি বছর ছফুরা আক্তার সুবর্ণা নামের একটি মেয়েকে দুবাই আজমান হলিডে বিচ বৈশাখী নাইট ক্লাবে পাচার করে দেন মাইনুদ্দিন| সুবর্ণার স্বামী আব্দুর রহিম জানান, এই নাইট ক্লাব এর মালিকের নাম হান্নান।
আব্দুর রহিমের অভিযোগ, তার স্ত্রী টিকটকে আসক্ত ছিল। টিকটকের মাধ্যমেই তার সাথে ঘণিষ্ঠতা হয় রানী নামের এক নারীর সঙ্গে। এরপর রানী তাকে প্রলোভন দেখায় বিদেশে যাওয়ার। রানীর মাধ্যমে তার পরিচয় হয় মাইনুদ্দিন নামের এক দালালের সঙ্গে। মাইনুদ্দিন সুবর্ণাকে বিদেশে উচ্চ বেতনে পার্লারে কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে বিদেশ যেতে প্রলুব্ধ করে। এমতাবস্থায় সুবর্ণা তার পরিবারের অবাধ্য হয়ে, গোপনে বিদেশ যাওয়ার সব বন্দোবস্ত করে। এই কাজে তাকে সহায়তা করে রানী ও তার স্বামী শফিকুল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মানবপাচারের অবৈধ কারবারী মাইনুউদ্দিন এর হাত ধরেই এই পথে আসে রানী। মাঈনুদ্দিনের মাধ্যমে রানী নিয়মিত নাইট ক্লাবে মেয়ে সাপ্লাই দিত। বিনিময়ে মাঈনুদ্দিন ও রানী মোটা অংকের কমিশন নেয়। টিকটকের মাধ্যমে সরলমনা মেয়েদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলে তাদেরকে বিনা খরচে বিদেশ যাওয়া ও অর্থ আয়ের স্বপ্ন দেখাত রানী ও মাঈনুদ্দিন সিন্ডিকেট।
যারাই তাদের লোভের পাতানো ফাঁদে পা দেয়, তাদের জীবনেই নেমে আসে অন্ধকার জীবনের গ্লানি। দুবাই যাওয়ার পরে তাদেরকে নাইট ক্লাবে বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করতে বাধ্য করা হয় বলে জানান আব্দুর রহিম।
Discussion about this post