সোহেল কবির, রূপগঞ্জ(নারায়ণগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সয়াবিন তেলের দুটি মিলে অভিযান চালিয়েছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত সিটি গ্রুপের র্তীর সয়াবিন তেলের মিল এবং বাংলাদেশ এডিবয়েল রূপচাদাঁয় অভিযান চালানো হয়। এসময় দুটি মিলেই পর্যপ্ত সোয়াবির তেল মজুদ ও সরবরাহ স্বাভাবিক আছে। তবে সরকারি বিধি অনুযায়ী কারখানা থেকে ডিলার বা পাইকারি ক্রেতাদের চালান রশিদের সাথে ইউনিট মুল্য উল্লেখ করে দেয়া নিয়ম থাকলে দুটি মিলে তা পাওয়া যায়নি। সরকারি নির্দেশ না মানায় দুটি মিলকে সর্তক করে সরকারি বিধি অনুযাযী ব্যবসা পরিচালনা করার নির্দেশনা দেয়া হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, সিটি গ্রুপের র্তীর এবং বাংলাদেশ এডিবয় রূপচাঁদা মিল পরিদর্শন করে দুটি মিলে পর্যপ্ত পরিমান সোয়াবিন তেল মজুদ আছে।
এছাড়া জানুয়ারী,ফেব্রুয়ারী ও মার্চ মাসের সরবরাহ কাজগপত্র আমরা খতিয়ে দেখা হয়েছে। যাতে দেখা যায় সরবরাহ চেইন স্বাভাবিক আছে।
তিনি বলেন, দুই মিলেই সরকারি ফরম আছে কিন্ত মানা হচ্ছে না। ক্রয় বিক্রয়ের সময় অবশ্যই ইউনিট মুল্য চালানে উল্লেখ থাকতে হবে। সেটি কোন মিলেই পাইনি। এছাড়া ডিও বা এসো বিক্রির ১৫ দিনের মধ্যে পাইকার বা ডিলারকে সেই পন্য সরবরাহ করার নিয়ম আছে। কিন্তু গত ৭ ফেব্রুয়ারী মাসের ডিও পন্য আজ সরবরাহ করা হচ্ছে। সরকারি নির্দেশনা মেনে ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য দুটি মিলকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
পাইকারি বাজার থেকে বার বার অভিযোগ করা হচ্ছে, মিল গেইট থেকে সরবরাহ কমিয়ে দেয়া হয়েছে। যে কারনে বাজারে তেলের সংকট হচ্ছে। কিন্তু মিলে এসে সেটি পাওয়া যায়নি। আসলে দাম কারা বাড়াচ্ছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দামের কারসাজি হচ্ছে কিনা সে বিষয়টি লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সব মিলে পরিদর্শন করা হবে।
Discussion about this post