টানা দুই কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর বুধবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে।
মূল্যসূচকের বড় পতনের পাশাপাশি ব্যাংক, বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ সব খাতের বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ডিএসইতে পতনের খাতায় নাম লিখিয়েছে ২৬৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম বেড়েছে ৫৪টির। আর ২৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার প্রভাবে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৬৯ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৪৫২ পয়েন্টে উঠে দাঁড়িয়েছে। অপর দুটি সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৪৭ পয়েন্টে এবং ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৬৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
মূল্যসূচক ও বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম কমার দিনে ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৫১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪১২ কোটি ৫২ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৩৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে এদিন ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ার। কোম্পানিটির ৫৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর পরেই রয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো বাংলাদেশ। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৭ কোটি ৭১ লাখ টাকার। ১৭ কোটি ২৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে এর পরেই রয়েছে গ্রামীণফোন।
লেনদেনে এরপর রয়েছে- মুন্নু সিরামিক, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস, ফরচুন সুজ, ন্যাশনাল পলিমার, মুন্নু জুট স্টাফলার্স, ব্র্যাক ব্যাংক এবং আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স ১১৯ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ১৩৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৭৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২৩৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫২টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬৮টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টির।
Discussion about this post