বেরোবি প্রতিনিধি:
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক দাবি করা কয়েকজন শিক্ষার্থীর অবৈধ প্রস্তাবে রাজি না হয়ে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি)শহীদ মুক্তার ইলাহী হলের প্রভোস্ট মোঃ শাহিনুর রহমান। একই হলের সহকারী প্রভোস্ট পদে থাকা আটজন শিক্ষকও পদত্যাগ করেছেন।
১৪ আগস্ট ২০২৪, প্রভোস্ট এবং সহকারী প্রভোস্ট ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গণসংযোগ তথ্য ও প্রকাশনা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আলী।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, শহীদ মুক্তার ইলাহী হলে মোট আসন সংখ্যা ৩২০টি। এর মধ্যে শুধু ১২০টি আসনে বৈধভাবে শিক্ষার্থীরা অবস্থান করে।
বাকি ২০০টি আসনের মধ্যে ১৪০ টি আসনে অবৈধভাবে দখল করেছিল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সমন্বয়কদের পরামর্শক্রমে হল প্রশাসন অবৈধ এই ১৪০ জনকে এক সপ্তাদের মধ্যে হল ছাড়ার নোটিশ দেয়া হয় এবং এক সপ্তাহ পর ১৪০ টি আসনসহ অবশিষ্ট ৬০ টি আসনের জন্য ভর্তির নতুন সার্কুলার দেওয়ার কথা হলেও পরবর্তীতে সমন্বয়কদের মধ্যে খোকন, আশিক,রহমত এবং বাপ্পী অবৈধ ১৪০ জনকে হলে রেখে দেওয়ার জন্য প্রভোস্টকে অনুরোধ করেন। তারা আরো দাবী করেন, ছাত্রদল, ছাত্রসমাজ ও ছাত্রশিবিরের কেউ কোনোভাবে যেন হলে ঢুকতে না পারে সেটাও হল প্রশাসনকে নিশ্চিত করতে হবে। সমন্বয়কদের এমন দু’মুখো প্রস্তাবের চাপে পরে পদত্যাগ করেন হলের প্রভোস্ট এবং সহকারী প্রভোস্টরা।
পদত্যাগের কারণ জানতে চাইলে শহীদ মুক্তার ইলাহী হলের প্রভোস্ট মোঃ শাহিনুর রহমান সমন্বয়কদের অনৈতিক চাপের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, যারা আমাকে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়েছিল তারা শুরুতে আমাকে বলেছিল , হলে অবৈধভাবে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা যেন এক সপ্তাহের মধ্যে চলে যায় এবং পরবর্তীতে নতুন সার্কুলারের মাধ্যমে খালি সিটগুলো পূর্ণ করতে।
তাদের কথার পরিপ্রেক্ষিতে আমি একটা নোটিশ দিয়েছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে অবৈধদের বিষয়ে সমন্বয়কদের মধ্যে কেউ কেউ আবার বলেন, স্যার হঠাৎ করে ওরা আবার কোথায় যাবেন, ওরা এতদিন ধরে আছে ওখানে, হঠাৎ করে এখন কোথায় যাবে, ওরা এতদিন একটা ছাত্র সংগঠনের কাছে জিম্মি ছিল,ওরা ওদের সিটেই থাকুক। এদেরকে আপনি বৈধ করার ব্যবস্থা করেন। এসব কথা শুনে আমি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছি। আমি তাদের বলে দিয়েছি, আমি অনৈতিক কিছু করতে পারবোনা।
Discussion about this post