নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের জামপুর ইউনিয়নের বস্তল এলাকায় মসজিদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করে আমানউল্লাহ নামের এক ব্যবসায়ীকে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে আজ মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) সকালে তার বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভূক্তভোগী ওই ব্যবসায়ী।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বস্তল উত্তরপাড়া জামে মসজিদ কমিটির বর্তমান সভাপতি আলমাছ মিয়া, সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলামসহ ওই গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। সংবাদ সম্মেলনের টাকা আত্মসাতের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন মসজিদ কমিটির বর্তমান সভাপতি আলমাছ মিয়া। জমি সংক্রান্ত বিরোধে আমানউল্লাহকে হয়রানীর করছে অভিযোগ তুলেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে মসজিদ কমিটির সাবেক সভাপতি ও ব্যবসায়ী আমানউল্লাহ অভিযোগ করেন, তিনি একজন বস্তল এলাকার পঞ্চায়েত কমিটির সদস্য। তিনি সামাজিকভাবে বিচার শালিসী করে থাকেন। স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের অমল ও বিমলের জমি দখল করে জামালউদ্দিনের ছেলে মামুন, সিরাজুল ইসলামের ছেলে মিজানুর রহমানসহ একটি সিন্ডিকেট কোম্পানির কাছে বিক্রি করে দেয়। এ নিয়ে পঞ্চায়েত কমিটির সদস্য হিসেবে বিচার দাবী করেন বিমল। আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পরামর্শ দিলে তার আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে মসজিদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে মিজানুর রহমান বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এ নিয়ে স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে মানহানিকর সংবাদ পরিবেশন করায়। এতে আমার ব্যবসায়িক ও সামাজিকভাবে সুনাম ক্ষুন্ন্ হয়।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, বস্তল উত্তরপাড়া জামে মসজিদের দায়িত্ব থেকে গত রমজানের ঈদে শারিরিক সমস্যা দেখিয়ে পদত্যাগ করে ১লাখ ২৫ হাজার টাকা বর্তমান কমিটির কাছে বুঝিয়ে দিয়ে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছি। মসজিদ কমিটির বর্তমান সভাপতি ও সহ-সভাপতি এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত আছেন। তারা এর সত্যতা প্রমান দিবেন।
বস্তল উত্তরপাড়া জামে মসজিদ কমিটির বর্তমান সভাপতি আলমাছ মিয়া বলেন, সাবেক সভাপতি আমানউল্লাহ দায়িত্ব হস্তান্তর কালে আমরা মসজিদের সকল হিসাব বুঝে নিয়েছি। আমানউল্লাহকে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মিজানুর রহমান মসজিদ কমিটির কেউ না।
অভিযুক্ত মিজানুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমানউল্লাহ আমাদের সমাজের কারো কাছে মসজিদের টাকা বুঝিয়ে দেননি। আমি সমাজের একজন হিসেবে জানি তিনি মসজিদের টাকা আত্মসাত করেছেন।
