শাহরুখ আহমেদ:
হঠাৎ করেই ১৮’ই মার্চ দুপুরে না ফেরার দেশে পারি জমান সোনারগাঁ উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী নীলা আক্তার। তবে নীলা আক্তারের মৃত্যু নিয়ে যথেষ্ট গুজব তৈরি হয়েছে। কে বা কাহারা নীলা আক্তারের মৃত্যুকে আত্মহত্যা হিসেবে সাব্যস্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
তাদের ধারণা, নীলা আক্তার তার স্বামী দেলোয়ার হোসেনের মালিকানাধীন রেস্টুরেন্টের ম্যানেজারের সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরে এই বিষয়টি জানাজানি হলে স্বামী দেলোয়ার হোসেন ও স্ত্রী নীলা আক্তারের মধ্যে বাকবিতন্ডা বা দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। অতঃপর বিষয়টি পারিবারিকভাবে জানাজানি হওয়ায় নীলা আক্তার লজ্জা বা রাগে অথবা যেকোনো পরিস্থিতিতে বিষপানের মাধ্যমে আত্মহত্যা করে। এই বর্ণনায় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ভুল তথ্য প্রচারও করা হয় বলে দাবি করেন দেলোয়ার হোসেন।
তিনি আরো বলেন, প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি রাজনীতির একজন সক্রিয় কর্মী হওয়ায় আমাকে দাবিয়ে রাখা ও মানহানির উদ্দেশ্যে কোন এক কুচক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে এই মিথ্যা তথ্য বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। তাছাড়া রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার নাহিদ যথেষ্ট বিশ্বস্ত ও কর্মঠ তাই সে আমার প্রতিষ্ঠানে ভবিষ্যতেও বহাল থাকবে। আমার স্ত্রী নীলা আক্তারের কারো সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক ছিলো না। তাছাড়া সে মৃত্যুকালীন সময়ে বিষ পান করে আত্মহত্যা করেনি। আমার স্ত্রী নীলা আক্তার গত ১৭’ই মার্চ বিকেলে মাদারটেক এলাকায় মায়ের বাড়িতে মায়ের সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্যে বেড়াতে যায়। তার পরদিন সকাল থেকেই নীলা আক্তারের বুকে ব্যথা সৃষ্টি হয়, এরপর সময়ের সাথে সাথে ব্যথার তীব্রতা বৃদ্ধি পেতে থাকে। অবশেষে আনুমানিক বেলা ১টায় আমার শাশুড়ি আমাকে মোবাইলে জানায় নীলা আক্তার বুকের ব্যথায় ছটফট করছে। তাই আমি আমার শ্বাশুড়িকে পরামর্শ দেই দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার জন্য এবং আমিও হাসপাতালে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সাথে সাথে রওনা হয়ে যাই। অতঃপর আমার স্ত্রীকে বনশ্রী এলাকায় ইউনিটি এইড হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে দুর্ভাগ্যবশত কর্মরত চিকিৎসকগণ আমার স্ত্রীকে হাসপাতালে নেওয়ার পরপরই মৃত বলে ঘোষণা করেন। অতএব আমার স্ত্রীকে নিয়ে অপপ্রচার ও মিথ্যা সংবাদ প্রচারের আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আহসান উল্লাহ বলেন, আমরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও লোকমুখে বিষয়টি জানার পর দেলোয়ার হোসেনের বাড়িতে যাই এবং তার শাশুড়ি অর্থাৎ নীলা আক্তারের মায়ের সাথে কথা বলি, নীলা আক্তারের মা দেলোয়ার হোসেনের বক্তব্যের সাথে মিল রেখে বলেন আমার মেয়ে বুকের ব্যথায় ছটফট করাকালীন মৃত্যুবরণ করে অতঃপর হাসপাতালে নেওয়ার পর জানতে পারি তার হৃদ যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু ঘটে।
Discussion about this post