নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে পাচারের সময় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের টিপুরদী এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান বিদেশি মদের কনটেইনারসহ দুইজনকে আটক করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আটকৃতরা হলেন- মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের নাগেরহাটের মৃত শেখ জয়নুল আবেদীনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩২) ও শ্রীনগরের ঘোল ঘর ভুইচিত্র এলাকায় মোঃ আক্কাস মোল্লার ছেলে মোঃ নাজমুল মোল্লা।(২৩)।
শনিবার র্যাব ১১ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল তানভীর মাহমুদ পাশা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ছাড়ায় এ ঘটনায় আরো কয়েকজন আসামি পলাতক আছে যাদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রেখেছে র্যাব।
গত শুক্রবার ভোররাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে এসব মদ আটক করা হয়।
র্যাব ১১ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল তানভীর মাহমুদ পাশা জানান, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদসহ দুজনকে আটক করেছি। পলাতকদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
আইপি জালিয়াতি করে কুমিল্লা ও ঈশ্বরদী ইপিজেডের দুটি প্রতিষ্ঠানের নাম অপব্যবহার করে মেশিনারি ও ববিন ঘোষণায় চালান দুটি খালাস করা হয়।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, মদ ভর্তি দুইটি কনটেইনার খালাস হবে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কমিশনার এবং জয়েন্ট কমিশনারের (জেটি) তত্ত্বাবধানে কাস্টম হাউস চট্টগ্রামের এআইআর টিম, আনস্টাফিং, স্ক্যানিং ও গেট ডিভিশনের সার্বিক প্রচেষ্টায় এবং র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় সারারাত কার্যক্রম শেষে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বের হয়ে যাওয়া চালান দুটি সম্বলিত গাড়ি সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জে আটক করা হয়।
আইপি জালিয়াতি করে কুমিল্লা ও ঈশ্বরদী ইপিজেডের দুটি প্রতিষ্ঠানের নাম অপব্যবহার করে মেশিনারি ও ববিন ঘোষণায় চালান দুটি খালাস করা হয়। দুইটি চালানের ইনভেন্ট্রি কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
উচ্চ শুল্কের পণ্য হওয়ায় বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি হয়েছে এ দুটি চালানে।
কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার সাইফুল হক জানান, কুমিল্লা ইপিজেডের হেশি টাইগার কোম্পানি লিমিটেডের নামে ২০ জুলাই টেক্সটার্ড ইয়ান ঘোষণায় চীন থেকে আসা ১৯ হাজার ৬৫০ কেজি ওজনের চালানটি খালাসের জন্য কাস্টম হাউসের প্লাসের জন্য কাস্টম হাউসে বিল অফ এন্ট্রি দাখিল করেছিল। একইদিন ঈশ্বরদী ইপিজেডের বিএইচকে টেক্সটাইল লিমিটেডের নামে চীন থেকে আসা রোভিং মেশিন ববিন ঘোষণায় ২০ হাজার ৭৫০ কেজি ওজনের চালানটি খালাসের জন্য বিল অফ এন্ট্রি দাখিল করেছিল। সিঅ্যান্ডএফ হিসেবে ছিল চট্টগ্রামের ডবলমুরিংয়ের ৬৯৯ কেবি দোভাষ লেনের জাফর আহমেদ। দুইটি চালানে তরল মদ পাওয়া যায়।
Discussion about this post