নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে শহীদ মিজান স্মৃতি সংসদের আয়োজনে পালিত হয়েছে সন্ত্রাস বিরোধী ছাত্র রাজনীতির উজ্জল নক্ষত্র শহীদ মিজানের ২৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ।
শনিবার বিকালে সোনারগাঁয়ের মঙ্গলেরগাঁও তাহেরপুর ঈদগাহ মাঠে এ স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সন্ত্রাসীরা নিপাত যাক, চেতনায় বেঁচে থাক এই শ্লোগানে এবার শহীদ মিজানকে স্মরণ করা হয়।
শহীদ মিজানের বড় ভাই জাপান আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক মাজহারুল ইসলাম মাসুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সাবেক সভাপতি বাহাদুর বেপারী।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রান ও সমাজ কল্যান উপ কমিটির সদস্য আখলাকুর রহমান মাইনু, আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সালেহ মোহাম্মদ টুটুল, আওয়ামীলীগের বিজ্ঞাপন ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য ড. স্থপতি মাসুম ইকবাল, জাপান আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক সামসুল আলম ভুট্টো, জাপান সেচ্ছাসেবক লীগের সভপতি মোহাম্মদ আমিন রনি, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মাহফুজ, মুন্সিগঞ্জ জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আলম খান, সোনারগাঁ উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোশাররফ হোসেন, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু, পিরোজপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রোকৌশলী আহাম্মেদ আলী তানভীর, পিরোজপুর ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আব্দুস সাত্তার,পিরোজপুর ইউনিয়ন তিন নং ওয়ার্ড সাধারন সম্পাদক এম এ সালাম প্রমুখ।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে সাবেক কেন্দ্রীয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সাবেক সভাপতি সত্যানুসন্ধানী বাহাদুর বেপারী বলেন, আমরা সে দিন রাজনীতি করেছিলাম আজকের এই সোনার বাংলার জন্যই। শহীদ মিজানের রক্ত বৃথা যায়নি। শহীদ মিজান সোনারগাঁ ইস্যু নয়, জাতীয় ইস্যু বলে মন্তব্য করেন তিনি।
স্মরণ সভায় উপস্থিত সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শহীদ মিজানের বড় ভাই জাপান আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাজহারুল ইসলাম মাসুম বলেন, আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথাযায়নি, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব আমাদের দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে দূর্বারগতিতে।প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালের ৭ অক্টোবর বিএনপি ও জামায়াত জোট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে ২৭শে অক্টোবর টি এস সি চত্তরে সন্ত্রাস বিরোধী মিছিলে ছাত্রদলের সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভু-তত্ত্ব বিভাগের ছাত্র ও ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান। গুলিবিদ্ধ হয়ে ৬৮ ঘন্টা মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে ৩০শে অক্টোবর মারা যান তিনি। তাই অশ্রুসজল সে দিনটি আজো স্মরণ করেন তার পরিবার, স্বজনরা, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
Discussion about this post