সাইদুর রহমান সজীব,বরগুনা প্রতিনিধিঃ
স্বামীর মিথ্যা অপবাদ ও নির্যাতন সইতে না পেরে মোমেলা বেগম নামের এক গৃহবধূ বিষপানে আত্মহত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্বজনরা ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করেছে।
জানাগেছে, গত ২ বছর পূর্বে উপজেলার খাকদান গ্রামের মোমেলার সাথে সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ-পশ্চিম আমতলী গ্রামের আব্দুল মজিদ ভান্ডারির বিয়ে হয়। এটি মজিদ ভান্ডারির তৃতীয় বিয়ে। বিয়ের পর থেকেই স্বামী মজিদ ভান্ডারী বিভিন্ন মিথ্যা অপবাদ দিয়ে স্ত্রী মোমেলাকে নির্যাতন করে আসছে।
মঙ্গলবার রাতে ফোনের মেমোরীকার্ড চুরির অপবাদ দিয়ে এনে স্ত্রী মোমেলাকে মারধর করেন স্বামী মজিদ ভান্ডারি। এতে মোমেলার শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম হয়। একই বিষয় নিয়ে গতকাল বুধবার (১৬ জুন) সকালে পুনঃরায় তাকে মারধর করে স্বামী মজিদ ভান্ডারি। মিথ্যা অপবাদ ও স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে মোমেলা দুপুরে আত্মহত্যার করার জন্য ঘরে থাকা কীটনাশক পান করে। সংবাদ পেয়ে স্বজনরা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আহত মোমেলা বেগম হাসপাতালে বসে কান্নাজনিত কন্ঠে বলেন, স্বামী আমাকে বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নির্যাতন করে আসছে। গতকাল রাতে মোবাইলের একটি মেমোরি কার্ড চুরির অপবাদ দিয়ে আমাকে মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত ফুলা যখম করেছে। একই বিষয় নিয়ে আজও সকালে আবারো আমাকে মারধর করেছে। মিথ্য অপবাদ ও স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছি।
স্বামী মজিদ ভান্ডারী হাসপাতালে বসে সাংবাদিকদের বলেন, আমার একটি মেমোরি কার্ড আমার স্ত্রী মোমেলা চুরি করেছে। ওই মেমোরি কার্ডটি ফেরৎ চাওয়ার পরেও সে দেয়নি এ জন্য তাকে আমি মারধর করেছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ তানজিরুল ইসলাম বলেন, মোমেলা বিষপান করেছে। তাকে যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে বিষ মুক্ত করা হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত ফুলা জখমের চিহৃ রয়েছে।
আমতলী থানার পরিদর্শক (ওসি) মোঃ শাহআলম হাওলাদার মুঠোফোনে বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছি। এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Discussion about this post