নিলয় স্পোর্টস ডেস্ক:
একজন ছাত্রের ভবিষ্যৎ যেমন নির্ভর করে ভালো শিক্ষকের উপর তেমনি ক্রিকেট মাঠেও একজন ক্রিকেটারের পারফরম্যান্স নির্ভর করে অনেকটা কোচের উপরেই। ক্রিকেটাররা ভালো পারফর্ম করলে সমর্থকদের কাছে এর ভাগিদার হোন কোচরাও। আবার খারাপ করলে সমর্থকদের থেকে শুনতেই হয় গালি। এত চাপ থাকার পরেও স্বেচ্ছায় খেলোয়াড়দের দক্ষ করে তুলতে নিজেদের উজাড় করে দেন বিভিন্ন দেশের কোচরা। নিজেদের দায়িত্ব শতভাগ পূরণে দলের সঙ্গেই থাকতে হয় এসব মানুষদের। বাংলাদেশ জাতীয় দল বিশ্বকাপে অংশ নিতে বর্তমানে ভারত রয়েছে। স্বভাবতই ১৫ সদস্যের দলের সঙ্গে আট জন কোচ নিয়ে ভারত সফরে রয়েছে বাংলাদেশ। যা চলমান আইসিসি বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া দলগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ।
ভারত বিশ্বকাপের নজর থাকবে খেলোয়াড় গড়ে তোলার মূল কারিগরদের দিকেও। কারণ দলের মাস্টারমাইন্ড হয়ে এবারের বিশ্বকাপে ড্রেসিং রুমে দেখা যাবে রাহুল দ্রাবিড়, মনে মরকেল, এলান ডোন্যাল্ড, গ্রাহাম গুচদের মতো কিংবদন্তি সাবেক ক্রিকেটারদের। বাংলাদেশ দলের হয়ে ফার্স্ট বোলারদের গুরু এলান ডোন্যাল্ড থাকবেন টাইগারদের ডাগ-আউটে। অতি সম্প্রতি তাসকিন, শরিফুলদের বদলে যাওয়ার গল্পটা এ আফ্রিকানের হাত ধরেই। খেলা চলাকালীন শিষ্যদের মনোবল বাড়াতে চৌকস থাকতে দেখা যায় ডোনাল্ডকে। এছাড়াও দলের প্রধান হয়ে থাকবেন কড়া হেডমাস্টার খ্যাত দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশের প্রধান কোচ হয়ে আসা শ্রীলঙ্কান বংশোদ্ভূত হাথুরুসিংহে। মেহেদী মিরাজ, সাকিবদের বোলিংয়ে দ্বার বাড়াতে বিশ্বকাপে দলের সঙ্গে আছেন আরেক শ্রীলঙ্কান রঙ্গনা হেরাথ।
দেখে নেওয়া যাক বাংলাদেশ দলের আটজন মাস্টারমাইন্ডের নাম:
হেড কোচ: চন্ডিকা হাথুরুসিংহে
অ্যাসিস্টেন্ট কোচ: নিক পোথাস, ফাস্ট বোলিং কোচ: অ্যালান ডোনাল্ড, স্পিন বোলিং কোচ: রঙ্গনা হেরাথ, ফিল্ডিং কোচ: শেন ম্যাকডারমট
অ্যাসিস্টেন্ট ফিল্ডিং কোচ: ফয়সাল হোসেন, টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট: শ্রীধরন শ্রীরাম, টিম ডিরেক্টর: খালেদ মাহমুদ সুজন
Discussion about this post