নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সোনারগাঁ ও বন্দর উপজেলা সর্বত্রই বেড়েই চলছে আরিফ হোসেন রকমারি সুদের ব্যবসা। ভিন্ন মেয়াদি সুদের ফাঁদে জিম্মি হয়ে পড়ছেন অসহায় হত-দরিদ্র জনগোষ্ঠী। রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। অসাধু সুদ ব্যাবসায়ী আরিফ হোসেন বনে যাচ্ছে পাহাড় সমান কালো টাকার মালিক। আর অভাব অনটের সংসারে অন্ন বস্ত্র বাসস্থানের প্রয়োজনে সুদ গ্রহীতারা হারাচ্ছে ভিটেমাটি -সহায় সম্পত্তি সহ অনেক কিছু।
জানাযায়, মানুষকে নিঃস্ব করার অন্যতম সুদের ব্যবসা উপজেলা সোনারগাঁ ও বন্দরের বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের বেশির ভাগ গ্রাম গুলোতে ছড়িয়ে আছে তার সুদের ব্যবসা । অসাধু সুদ ব্যাবসায়ী মোঃ আরিফ হোসেন দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক ভিত্তিতে সুদের ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে। অত্র এলাকায় সুদের ব্যবসা মহামারী আকার ধারণ করেছে। সারাদেশ করোনার কারনে ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ, তখনই আরিফ হোসেন সুদ ব্যবসায়ী রোষানলে পড়ে অসহায় হয়ে পড়েছে সমাজের নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সাধারণ মানুষগুলো।
কাঁচপুর, মদনপুর, জাঙ্গাল,কেওঢালা,লাঙ্গলবন্দ এলাকায় চড়া সুদে হত-দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে ভিন্ন মেয়াদে ঋন প্রদান করেছেন। কিন্তুু তার ঋন দানের কোন সরকারি অনুমতি নেই। কোন এনজিওর সাথে ও তাদের সংশ্লিষ্টতা খুজে পাওয়া যায়নি। কিন্তু দিনের পর দিন কোন বাঁধা বিপত্তি ছাড়াই চালিয়ে যাচ্ছে সুদের ব্যবসা।এসব ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ছে সমাজের মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবার গুলো। বিপদ-আপদে অনেকটাই বাধ্য হয়ে সুদের উপর টাকা নিয়ে থাকেন মধ্যবিত্ত অনেক পরিবার।পরে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সুদ ও আসল টাকা পরিশোধ করতে না পারলেই সুদ ব্যবসায়ী মোঃ আরিফের হাতে লাঞ্ছনার স্বীকার হতে হয়। হারাতে হয় সাহায় সম্পত্তির অনেক কিছুই। সুদ ব্যবসায়ী আরিফ হোসেনের চক্রবৃদ্ধি সুদের রোষানলে দিশেহারা হয়ে পড়েছে বিভিন্ন ইউনিয়ন ও গ্রাম অঞ্চলের সাধারণ অসহায় মানুষ। আর্থিক প্রয়োজনে বেকায়দায় পড়ে এসব সুদ ব্যবসায় মোঃ আরিফ হোসেন খপ্পরে পড়েছে মধ্যবিত্ত কৃষক, বর্গাচাষী, স্বল্প আয়ের লোকজনসহ অনেকে।কেউ ব্যবসা করতে,বিদেশগমনে,সিএনজি ক্রয়ে বা বিভিন্ন অসুবিধায় সুদ ব্যবসায়ী আরিফ হোসেনের নিকট চড়া সুদে টাকা নিয়ে ১০০/৩০০ টাকার সাদা ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর বা টিপ দিয়ে টাকা নিতে হয় । আর ওই সব সাদা ষ্ট্যাম্পে সাক্ষী নেওয়া হয় সুদ ব্যবসায়ী পছন্দমত ব্যক্তিদের এবং ইচ্ছামত তারা ষ্ট্যাম্প পূরণ করে রাখেন কিংবা প্রয়োজন মত লেখার জন্য ফাঁকা রাখেন।আর বেকায়দায় পড়া ব্যক্তিদের অনেকে সুদ ব্যবসায়ী আরিফ হোসেন চাপে বন্ধক রাখতে জমির দলিলপত্র, স্বর্ণালংকার, খালি চেকও বন্ধক রাখতে বাধ্য হচ্ছেন সুদ ব্যাবসায়ী আরিফ হোসেনে কাছে।
মাসিক,সাপ্তাহিক এমনকি দৈনিক ভিত্তিতে নগদ ঋণ দিয়ে দেড় থেকে দুই গুন মুনাফা লাভ করে। একদিকে যেমন সুদ ব্যবসায়ী আরিফ হোসেন কোটি কোটি টাকা ও সম্পদের পাহাড় গড়ছেন অন্যদিকে সাধারণ ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ দিন দিন গরিব ও ভূমিহীনে পরিণত হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানান, আরিফ হোসেন সুদের ব্যবসা দিনের পর দিন বেড়েই চলছে। সুদের টাকা পরিশোধ করতে না পারলে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে খালি চেকে তার ইচ্ছামত টাকা বসিয়ে চেকটি ডিজঅনার করে মামলা দিয়ে আসলের থেকে ২০-৩০ গুন বেশি সুদের টাকা আদায় করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় আরিফ হোসেন বন্দর উপজেলা দশদোনা হালুয়াপাড়া গ্রামের মৃত নুরু মিয়া ছেলে। এই আরিফ হোসেনে আগে গার্মেন্টস কাজ করত সুদের ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বিত্তহীন থেকে হয়েছেন বিত্তবান, সুদ ব্যবসায়ী মোঃ আরিফ হোসেনের এমন কর্মকান্ডে প্রশাসনের নেই কোন পদক্ষেপ। যার ফলে ঋনের নামে এসব শোষণ বেড়েই চলছে। সমাজের এই ক্ষতিকর সমাজ-বিরোধী অবৈধ সুদ ব্যবসা উচ্ছেদে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন এ ব্যাপারে জরুরী পদক্ষেপ নিবেন এই দাবী সোনারগাঁয়ে ও বন্দর উপজেলার সচেতন মহলের।
Discussion about this post