মো:সাব্বির খান , ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুন নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ ঘটনায় তৎপরতা শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ভিডিওটি অভিযুক্ত হালিমা খাতুনের ফোনে ধারণ করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে বিশ^বিদ্যালয় প্রক্টর।
বৃহস্পতিবার (০৯ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে উ”চ আদালতের পূর্নাঙ্গ নির্দেশনাগুলো হাতে পেয়েছি। পূর্বে উ”চ আদালত যা নির্দেশ দিয়েছে সেগুলো বাস্তবায়ন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (০৭ মার্চ) রেজিস্ট্রার ইবি থানায় অফিসিয়ালি লিখিত দিয়েছেন। আগামী শনিবার (১১ মার্চ) অভিযুক্ত হালিমা খাতুন উর্মীর সকল তথ্য বিভাগ থেকে সংগ্রহ করবে থানা। এখন পর্যন্ত মোবাইল ফোনের উদ্ধার তৎপরতা চলমান।
এ বিষয়ে ইবি থানার ওসি আননূর যায়েদ বিপ্লব বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার হতে প্রেরিত একটি লিখিত পেয়েছি। চিঠিটি পাওয়া থেকে আজ অব্দি উদ্ধার কাজের তৎপরতা চলছে।
এদিকে শনিবার (০৪ মার্চ) বেলা ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সেলিনা নাসরিন ফুলপরীকে শেখ হাসিনা হল থেকে স্থানান্তরিত করে তার পছন্দ মত বঙ্গমাতা হলের বকুল ব্লকের ৫০১ রুমে তুলে দেন।
ঘটনায় ভুক্তভোগীর অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় অভিযুক্ত পাঁচ শিক্ষার্থীকে বহিস্কাকের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। সেই প্রেক্ষিতে গত শনিবার (০৪ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে অভিযুক্তদের সাময়িক বহিষ্কার এবং ৭ কর্মদিবসের মধ্যে কেনো তাদের স্থায়ী বহিস্কার করা হবেনা সেই মর্মে কারণ দর্শানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১২ ফেব্রুয়ারী দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ফুলপরী নামের নবীন এক শিক্ষার্থীকে গনরুমে ডেকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা বরাবর অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। গত ১৫ ফেব্রুয়ারী এ ঘটনায় হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী গাজী মো. মহসীন।
Discussion about this post