মাসুদ হাসান:
সারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কামারদের মতোই আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দা-ছুরি বানাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের কামারেরা। কামারপাড়া এখন টুংটাং শব্দে মুখরিত।
হাতুড়ির আঘাতে তৈরি হচ্ছে দৈনন্দিন জীবনে কাজের উপযুক্ত সামগ্রী, দা, বটি, চাকু, কুড়াল, ছুরি, চাপাতিসহ ধারালো সব যন্ত্রপাতি।
সরেজমিনে উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নে বাজার গুলতে ঘুরে দেখা যায়,হাপর দিয়ে কয়লার আগুনে লোহা পুড়িয়ে লাল করে পিটিয়ে ছোট-বড় নানা আকারের তৈরি করা হচ্ছে ছুরি, বটি, দা, চাপাতি ইত্যাদি।পাশাপাশি পুরনো অস্ত্র শান দেওয়ার কাজও করতে হচ্ছে সমানতালে। ক্লান্তহীনভাবে দিন রাত কাজ করে চলেছে, কথা বলার সময় নেই কারো। এত পরিশ্রমেও তাদের মুখে হাসি ফুটছে কারণ এই ঈদে পাবে বাড়তি টাকাও।
সারা বছরই লোহার তৈরি দা, বটি, ছুরি, চাপাতি, কোদাল, কুড়াল, কাঁচি কামারশালায় পাওয়া গেলেও। এ বছর এই ঈদে তাদের বেচা বিক্রি বেশি হবে বলে আশা করছেন মহাজনেরা।

জানা যায়, পশুর চামড়া ছাড়ানোর ছুরি ৫০ থেকে ২৫০ টাকা, দা ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, বটি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা,মাংস সাইজ চাকু ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, পশু জবাইয়ের ছুরি ৫০০ থেকে ১০০০টাকা, চাপাতি ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ অন্য বছরের তুলনায় বটি, চাপাতি ও পশু জবাইয়ের ছুরির দাম একটু বেশি বলছেন।

আরও পড়ুন : জানা গেল কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ
কাঁচপুর কামারশালার এক মহাজন মো: মোস্তফা বলেন,ঈদ এলেই আমাদের কেনা বেচা বেড়ে যায়। ঈদের দুই থেকে তিন সপ্তাহ আগে থেকে কাজের চাপে দম ফেলার অবস্থা থাকে না। সব মিলিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

কামারশালার আরেক মহাজন আমির হোসেন বলেন,এই ঈদে গরু কোরবানির জন্য অনেকেই চায়না স্টিলের সরঞ্জাম কিনছেন।তবে তাদের চেয়ে ভালো মানের জিনিস তৈরি করছেন তারা দামেও সস্তা।
তিনি আরও বলেন,বর্তমানে লোহার কেজি ১২০ টাকা। কয়লার বস্তা প্রতি ৩০০০ টাকা।পাশাপাশি কামারদের দৈনিক হাজিরা ১০০০টাকা ও হেলপারদের ৮০০টাকা দিয়ে দা, বটি, ছুরি, চাপাতি, কোদাল, কুড়াল, কাঁচি বিক্রি করে তেমন লাভ হয় না।কোনো মত বেঁচে আছি।তবে ঈদের আগে আমরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছি বেশি বিক্রির আশায় আমরা এতেই খুুশি।

































Discussion about this post