মাও:রেজাউল করীমঃ
দুনিয়া ও আখেরাতে মানুষের শ্রেষ্ট সম্পদ সৎ ব্যবহার।আর সৎ ব্যবহার দু’ভাগে ভাগ করা যায়।
প্রথমত: পার্থিব।পার্থিব সৎব্যবহার হল,মানুষে মানুষে পরস্পরে অত্যাবশ্যক বন্ধনসমূহ দয়া সহমর্মিতার সাথে রক্ষা করা।
দ্বিতীয়ত : পরলোকিক। পরলোকিক সৎব্যবহার হল,মানুষ তার স্রষ্টার প্রতি পূর্ণ ইমান ও আকিদায় অবিচল থেকে পূর্ণ ইখলাসের সাথে তার ইবাদত করা।রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উওম আচরণের গুরুত্বতা বর্ণনা করতে গিয়ে ইরশাদ করেছেন,”মহান আল্লাহ তায়ালার ইবাদত এমনভাবে কর,যেন তুমি তাকে দেখছ।আর দেখতে সক্ষম না হলে এ দৃড় প্রত্যয় তোমার মাঝে সৃষ্টি কর যে,তিনি তোমাকে দেখছেন”।
- সৎব্যবহারে অনেক দিক রয়েছে ।যথা; মহান আল্লাহ তায়ালা ও মানুষের মধ্যেকার প্রতিশ্রুতি ও চুক্তি রক্ষা করা।যেমন ইরশাদ হচ্ছে,”ওহে যারা ইমান এনেছ চুক্তি পূর্ণ কর”(মায়েদাঃ-১)অভাবীদের দান করা।ইরশাদ হচ্ছে,”যদি তাদেরকে দান করো তোমাদের জন্য তা কল্যাণকর,যদি তোমরা বিষয়টি সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে”(বাকারা ২৮০)।
- এতিমদের সম্পদ থেকে দুরে থাকা।যেমন ইরশাদ করা হয়েছে,তোমরা এতিমদের মালের কাছেও যেওনা,একমাত্র তার কল্যাণ আকাঙ্খা ছাড়া;সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির যৌবনে পদার্পণ না করা পর্যন্ত।”(ইসরা ৩৪)।
*পরিমাপ ঠিক মত দিবে।যেমন ইরশাদ করা হয়েছে,”মাপে পূর্ণ মাএায় দেবে;যারা মপে ঘাটতি করে,তোমরা তাদের অন্তর্ভূক্ত হয়ো না এবং ওজন দিবে সঠিক দাঁড়ি পাল্লায়।লোকদের তাদের প্রাপ্য বস্তু কম দিবে না এবং পৃথিবীতে বিপর্যয় ঘটাবেনা”(শোয়ারা ১৮১-১৮৩)।
কৃপণতা থেকে মুক্ত থাকা।কেননা অতীত যুগে কৃপণতার কারনে বহুজাতি ধ্বংস হয়েছে।
- ওয়াদা পালন করা:-
ইহা একটি উন্নত চরিত্র।যাদের স্বভাব ভাল এবং যাদের পারিবারিক পরিবেশ মার্জিত কেবল তারাই মহৎ গুনে গুণান্বিত হতে পারে ।সম্মানিত ব্যক্তি যখন ওয়াদা করে তা পূরণ করে।আল্লাহ তায়ালা ওয়াদা পূরণের নির্দেশ দিয়ে ইরশাদ করেন,এবং তোমরা ওয়াদা পূরণ কর,নিশ্চয়ই ওয়াদ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে”(আল ইসরা ৩৪)।
রাসুলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন,মুনাফিকের আলামত ৩টি, * কথা বলে মিথ্যা বলে, * ওয়াদা করলে ভঙ্গ করে, * আর তার কাছে আমানত রাখলে সে খেয়ানত করে”(বোখারী ও মুসলিম )। সুতরাং ওয়াদা পালন করা ইসলামে মুসলমানদের জন্য সৌন্দর্য এবং ইমানে স্বচ্ছতা ।
- দু:স্হ,অসহায়,নি:স্ব ও বিধবার সেবা:-
ইসলাম এমন একটি জীবনপথ যা বিতাড়িত ও অভাবীদের জন্য সাহায্য -সহযোগীতার বিছানা বিছিয়ে দিয়েছে এবং এটাকে ইসলাম ও মুসলমানদের বৈশিষ্ট্যাবলির অন্তর্ভুক্ত করেছে।অস্বচ্ছলকে সচ্ছল তা অর্জনে সহযোগীতা করা,অভাবির অভাব মোশন করা ইসলামের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এ সকল আমল করলে মহান আল্লাহ তায়ালা সাওয়াব ও ফজিলত দান করবেন ।রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,”সে(মুসলমান)যেন সাহায্যের উপযোক্ত দু:খী ব্যক্তিকে সাহায্য করে”(বুখারী ও মুসলিম )।
এভাবেই কল্যানকর কাজের মাধ্যমে উওম চরিএের অধিকারি হওয়া যায় এবং মহান আল্লাহ তায়ালার প্রিয় বান্দা হওয়া যায়।
Discussion about this post