একজন আদর্শ পুলিশের গল্প তিনি হলেন এ এস আই তরিকুল ইসলাম। সাধারণ মানুষের যখন মোবাইল হারায় বা ছিনতাই হয় তখন তারা পুলিশের কাছে যেতে চায় না। তাদের ধারণা পুলিশ সাধারণ মানুষের জন্য নয়। কিন্তু তাদের এই ভুল ধারণা ভেঙে দিল হাতিরঝিল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম।
যার পুলিশে আসার উদ্দেশ্য হল সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করা। আর এসব কাজ করার জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে বেছে নিয়েছেন তেজগাঁও বিভাগের এডিসি হাফিজ আল ফারুক ও এসি সালমান হাসানকে।
আজ সমাচার এর সহ সম্পাদক জনাব সামির সরকারের একান্ত সাক্ষাৎ কারে তিনি (তরিকুল) বলেন, আমি বেশিরভাগ মোবাইল উদ্ধার নিয়ে কাজ করি। যখন কারো মোবাইল হারায় বা চিন্তায় হয়ে গেলে থানায় জিডি করে তখন তেজগাঁও বিভাগের পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার এর কড়া নির্দেশে এসব মোবাইল উদ্ধারের জন্য কাজ করি এবং সফলতা অর্জন করি।
পুলিশের চাকরি নিয়েছেন কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশে আসছি সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করতে। কেননা এখানে সাহায্য করার সুযোগ একটু বেশি থাকে। আর আমি যে থানায় আছি সেখানে আমি অনেক অনুপ্রেরণা পাই আর এই অনুপ্রেরণা আমার কাজকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নেয়।
মোবাইল উদ্ধার নিয়ে তরিকুল বলেন, এ পর্যন্ত আমি প্রায় ২০০ মোবাইল উদ্ধার করেছি। এসব কাজের জন্য অনেক সময় আমাকে সন্ত্রাসের মুখে পড়তে হয়েছে তবুও আমি সফলতা পেয়েছি। সাধারণত একজন ভুক্তভোগী থানায় সাধারণ ডায়েরি করলে আমরা তার মোবাইল সেটের আই এম ই নাম্বার দিয়ে লোকেশন বের করে শনাক্ত করি। যারা মোবাইল চুরি করে বা চিন্তায় করে তাদেরকে ধরতে অনেক সময় ঢাকার বাহিরে যেতে হয়।
তিনি আরো বলেন, মোবাইল উদ্ধারের সফলতার পাশাপাশি কিছু ব্যর্থতাও রয়েছে। সাধারণত যেসব মোবাইলের আই এম ই পরিবর্তন হয় সে সব মোবাইল উদ্ধার করতে একটু কষ্টকর হয়ে যায়। এছাড়া যদি ওয়াইফাই ব্যবহার করে তাহলে তার লোকেশন বের করা জটিল হয়ে পড়ে।
যাদের কাছ থেকে মোবাইল উদ্ধার করা হয় তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মোবাইল উদ্ধারের পর সনাক্তকারীকে থানায় নিয়ে আসা হয়। সে যদি কোন চুরি বা ছিনতাইকারী চক্রের সাথে জড়িত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
Discussion about this post