নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলায় মুছাপুর এলাকায় মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীর ওয়াজ মাহফিলে হিন্দু থেকে মুসলমান হওয়া নূর মোহাম্মদ কে আইনজীবীর সহকারী বা মুহুরীর চাকুরীর ব্যবস্থা করে দিলেন সোনারগাঁও পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের পৌর ভবনাথপুর গ্রামের মদিনাবাগ মহল্লার কৃতি সন্তান, গরীবের উকিল নামে খ্যাত নারায়ণগন্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য, পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটি, সোনারগাঁ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক- এডভোকেট মো: ফিরোজ মিয়া।
জানা গেছে, গত বছরের ২০১৯ সনের ডিসেম্বর মাসের ৭ তারিখে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মুছাপুর এলাকায় মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীর মাহফিলে ইসলাম গ্রহণ করেন হিন্দু যুবক। হিন্দু সম্প্রদায় থেকে মুসলিম হওয়া যুবকের ইসলাম গ্রহণ করতে রাষ্ট্রীয়ভাবে যে সকল আইনি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হয় সে সকল আইনি প্রক্রিয়া বিনা মূল্যে করে দেয়ার ঘোষণা দেন সোনারগাঁয়ের গরীবের বন্ধু নামে খ্যাত নারায়ণগঞ্জ জজ কোর্টের এডভোকেট মো. ফিরোজ মিয়া।
সেই ওয়াজ মাহফিল মিজানুর রহমান আজহারী হিন্দু যুবকের নাম রাখেন নূর মোহাম্মদ। মুসলমান হওয়ার পর সেই যুবকটিকে তাদের পরিবার থেকে ত্যাজ্য করে তাকে সমাজ থেকে বিতাড়িত করা হয়। পরিবার থেকে বিতাড়িত হয়ে ছেলেটি অসহায় হয়ে পড়ে। টাকার অভাবে তার লেখাপড়া ও জীবনযাপন অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যায়। তখন এডভোকেট মো: ফিরোজ মিয়া ছেলেটি লেখাপড়া ও চাকুরীর সার্বিক বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করে যুবকটিকে তারই সহকারি হিসেবে চাকরির ব্যবস্থা করে দিবেন বলে জানান। যাতে ছেলেটি চাকরির পাশাপাশি তার লেখাপড়া করে নিজে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেন। বর্তমানে নূর মোহাম্মদ এডভোকেট মো. ফিরোজ মিয়ার সাথে কাজ করছে।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জজ কোর্টের এডভোকেট মো: ফিরোজ মিয়া জানান, মুসলমান ধর্ম গ্রহণ করার পর সমাজ তাকে বিতাড়িত করে দিয়েছে এবং তার চলাফেরা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে দিন থেকে সে হিন্দু থেকে মুসলমান ধর্ম গ্রহণ করেছে সেই দিন থেকে আমি নূর মোহাম্মদ কে প্রতি মাসে তার থাকা ও খাওয়া বাবদ খরচ চালিয়ে যাচ্ছি। আইনজীবীর সহকারী বা মুহুরী হতে হলে কিছু আইনানুগ নিয়ম নীতি আছে। প্রথমে নারায়ণগন্জ জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে আইনজীবীর সহকারী বা মুহুরীর জন্য ৫,০০০/= টাকা দিয়ে ফরম ক্রয় করতে হয়। তারপর ফরম পূরন করে অফিসে জমা দিয়ে একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর সাথে থেকে কাজ শিখতে হয় এবং তার শিক্ষানবীশ কাল সমাপ্ত করতে হয়। পরবর্তীতে জেলা আইনজীবী সমিতির কমিটির নিকট পরীক্ষা দিয়ে পরিক্ষায় পাশ করলে আইনজীবীর সহকারী বা মুহুরী হওয়া যায়।
বর্তমানে নূর মোহাম্মদ আমার সাথে মুহুরী হিসেবে কাজ করছে। আমার সাথে কাজ করার পর তার পরিবারকে সাধ্যমতো আর্থিক সহায়তা করিতেছে। এডভোকেট মো: ফিরোজ মিয়া আরো বলেন, আমি সবসময় মহান আল্লাহর উপর ভরসা করি এবং তিনি উত্তম রিজিকের মালিক। আপনারা সবাই আমার জন্য ও নূর মোহাম্মদের জন্য দোয়া করবেন। আমিন।
Discussion about this post