করোনার কারণে সব মার্কেট লকডাউন করা হয়েছিল। সরকার সবদিক বিবেচনা করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মার্কেট খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে দোকান মালিক ও কর্মচারীদের মানবিক দিক বিবেচনা করে মার্কেট খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। শর্ত হলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে,সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে হবে,দোকানে নির্দিষ্ট মানুষ যাওয়া আসা করবে।কিন্তু বড় বড় অনেক মার্কেট নিজেরা সিদ্ধান্ত নেয় না খোলার, করোনা সংক্রমণের দিক বিবেচনা করে।কিছু মার্কেট খোলা হয়।কিন্তু সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে জনগণ অবাধে পূর্বের মত শপিং করতে থাকে।এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে বারবার হুশিয়ারী শর্তেও জনগণের ঢল নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।যারা মার্কেটে যাবেন সরকারি নির্দেশনা মেনে চলবেন, না হয় করোনা ঝুঁকিতে পড়ার সম্ভাবনা থাকবে।
আমার ছাত্র সাংবাদিক রাজিব বলে,বেঁচে থাকলে অনেক ঈদ করা যাবে।এভাবে যদি আমরা চিন্তা করি এবং মার্কেটে ভীড় না করি তাহলে করোনা ভাইরাস আমাদের থেকে দুরে থাকবে। শুনা যায়, একজন করোনা রুগী নাকি কোয়ারান্টাইন থেকে পালিয়ে মার্কেটে যান,আর এটি যদি সত্যি হয় তাহলেতো বিপদ । তাই খুব প্রয়োজন না হলে শপিং এ না যাই।এতে নিজেও বাঁচবো অন্যকেও বাঁচাতে পারব।
এবার যদি ঈদের শপিং না করে ঐ অর্থ দিয়ে দান খয়রাত করি তাহলে সমাজের যারা শপিং করতে পারেনা তাদের মুখে হাসি ফুটবে।
ফুল ফুটলে মনে খুব আনন্দ লাগে, মুখে হাসি ফুটে,মন সতেজ হয়।ফুলের মত আপনিও অভাবিদের মুখে দানের মাধ্যমে হাসি ফুটান, দেখবেন আপনার মনে আনন্দ আসবে,মুখে হাসি হাসি ভাব আসবে,মন সতেজ হয়ে যাবে।
তাছাড়া রোজার মাসের দান অনেক উত্তম, ৭০ গুণ পর্যন্ত সওয়াব পাওয়া যায়। এতে সমাজে সাম্যতা ফিরে আসবে।আশেপাশের সবাই ঈদ আনন্দে মেতে উঠুক, আপনার দান আপনাকে উচ্চ মহিমায় সমাসীন করুক।এবারের ঈদ হউক গণমানুষের ঈদ। করোনা আমাদের সকলকে এককাতারে আসার শিক্ষা দিয়েছে।ঈদও আমরা সবাই মিলেমিশে করব।
আপনি একজন শপিং এ যাবেন কিন্ত অসতর্কতার কারণে যদি করোনা নিয়ে আসেন তাহলে পুরো পরিবারের জন্য কান্নার কারণ হবেন।
তাই আসুন শপিং এর ভীড়ে নয়,নীড়েই কল্যাণ।সামর্থ্য অনুযায়ী দান করুন,দানে বরকত হয়।শপিং এ সরকারি নির্দেশনা মেনে চলুন।জনসমাগম এড়িয়ে চলুন। আল্লাহ আমাদের সকলকে হেফাজত করুন।
লেখক: মোহাম্মাদ ফখরুল ইসলাম । বিভাগীয় প্রধান ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ । আনন্দ মোহন কলেজ,ময়মনসিংহ।
Discussion about this post