নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে কাঁচপুর ব্রীজের ঢালুতে ঢাকামুখী রাস্তা পারাপারের সময় দ্রুতগামী বাসের ধাক্কায় দাদি-নাতনি নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৭ জুন)দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- দাদি শামসুন্নাহার বেগম ও নাতনি আরিজা ওরফে অরপি আক্তার। নিহত শামসুন্নাহার বন্দর উপজেলার সোনাকান্দা গ্রামের নূর মোহাম্মদের স্ত্রী। অরপি তার নাতনি। নিহতের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া ।
জানা যায়, উপজেলার বন্দর উপজেলার সোনাকান্দা গ্রামের নূর মোহাম্মদের স্ত্রী শামসুন্নাহার তার নাতনি আরিজা ওরফে অরপিকে নিয়ে আরেক মেয়ের ঘরের অসুস্থ্য নাতনীকে দেখতে নরসিংদী যাচ্ছিলেন। পথে কাঁচপুর ব্রীজের ঢালুতে রাস্তা পারাপারের সময় বাসের ধাক্কায় তারা আহত হন। মূমূর্ষ অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিয়ে যায়। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক পৌনে ১টার দিকে শামসুন্নাহারকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত অরপি আক্তারকে আইসিইউ নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পৌনে ৩টার দিকে সে মারা যায়।
নিহত শামসুন্নাহারের স্বামী নূর মোহাম্মদ জানান, তার স্ত্রী শামসুন্নাহার ও নাতনীকে নিয়ে সকালে নরসিংদি যাচ্ছিলেন। সেখানে আরেক নাতনী অসুস্থ থাকায় তাকে দেখতে যাচ্ছিলেন। তার স্ত্রী নাতনিকে নিয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি যাত্রীবাহী বাস তাদের ধাক্কা দেয়। এসময় তারা রাস্তায় ছিটকে পড়ে আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়েগেলে সেখানেই তারা মারা যায়।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, নিহতদের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছিল। পরবর্তীতে আইনি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরিবারের কাছে তাদের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ওসি নবীর হোসেন জানান, দ্রুতগামী বাসে চাপায় আহত অবস্থায় দাদি ও নাতনিকে নিয়ে গেলে সেখানে তারা মারা যায়। নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
Discussion about this post